Header Ads

আকসাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না

নয়া ঠাহর, সংবাদদাতা

আকসার বর্তমান নেতৃত্বকে ব্যাক্তিগত এবং রাজনৈতিক স্বার্থে আকসাকে ব্যাবহার না করার দাবি জানালেন 'প্রাক্তনী আকসা'র  সদস্যরা ।

ছাত্র সংগঠন আকসার অন্যতম উপদেষ্টা সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কনভয়ে  জলের বোতল ছোড়া নিয়ে কংগ্রেস দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এমনকি আসাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদকে আকসার পক্ষ থেকে আগামীতে বরাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি । একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তাঁর এই রাজনৈতিক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন ' প্রাক্তনী আকসা'র সদস্যরা।

এক প্রেস বার্তায় 'প্রাক্তনী আকসা ' সংগঠনের মুখ্য আহ্বায়ক অধ্যাপক হিলাল উদ্দিন লস্কর বলেন যে আকসা জন্মলগ্ন থেকেই একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এটি মূলত তৈরি হয়েছিল বরাক উপত্যকায় একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে। এক দশক ব্যাপী দীর্ঘ আন্দোলনের সময় এই সংগঠনকে সমর্থন করেছেন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত বরাক বাসী। এই সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ মুল্যবান সহায়তা করে এসেছেন। এসবের ফলশ্রুতিতেই ১৯৯৪ সালে শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরও যারা এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা শেষ করে বেরোবেন তাঁদের স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে আকসা দাবি তুলেছিল, যদিও এই দাবি আজো পূরণ হয়নি। তাই এই সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

আকসার আরেক আহ্বায়ক পঙ্কজ কান্তি দেব রায় বলেন যে আকসার বর্তমান নেতৃত্ব বরাকের ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা এবং বিশেষতঃ এখানকার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির দাবিতে অধিকাংশ সময় নীরব থাকেন। তাঁদের এইসব ব্যাপারে কোন ধরনের আন্দোলন বা কর্মসূচি নিতে দেখা যায় ‌না । এরজন্য তাদের পেছনে জনসমর্থন প্রায় নেই বললেই চলে। তিনি বলেন এর উপরে ব্যাক্তি স্বার্থে সংগঠনের নেতৃত্বের এই ধরনের রাজনৈতিক মন্তব্য সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তিনি এইধরনের মন্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি আকসার বর্তমান নেতৃত্বকে আগামীতে রাজনৈতিক স্বার্থে এই সংগঠনকে ব্যাবহার না করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রাক্তনী আকসার পক্ষ থেকে আহ্বায়ক গীতেশ রঞ্জন পাল এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.