Header Ads

অসমে পূর্ব বঙ্গীয় মূলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান

অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি ৯ জুলাই ,কোলকাতা: অসম এ উচ্ছেদ অভিযান নতুন কথা নয়।বাংলাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠী অসমের প্রাচীন জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে  বাংলাদেশী ও আছে। শেখ শাদুল্লা র সময়" গ্রো মোর ফুড " কর্মসূচি সফল করতে  মুসলিম জনগোষ্ঠী অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারে এসে বনবাদার সাফ করে বসতি গড়তে শুরু করে। অসমীয়াদের কর্ম সংস্কৃতির অভাবের সুযোগ নেই শ্রমজীবী  মুসলিমরা ,তাদের পারিবারিক  শিক্ষার বড় অভাব, সন্তান সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে তাদের দারিদ্রতা ,অভাব থেকেই গেছে।  দারিদ্রতার সঙ্গে পারিবারিক দুই বেলার আহারের সম্পর্ক আছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়লে ভাতের অভাব ঘটে। অসমের বিভিন্ন চর অঞ্চলে ঘুরে দেখেছি। শিক্ষা নেই ,পুষ্টিকর  খাদ্য নেই।৯৯ শতাংশ নারী শিশু রক্তের অভাব।  মুসলিম নেতারা  সেই দারিদ্রতার দিকে কুশিক্ষা অশিক্ষা র দিকে নজর দেন না।শুধুই সন্তান আর সন্তান।অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার এখাজারের বেশি স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলে পুড়েছে।যাদের সবাই শিশু কন্যা।১২,১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে। মাদ্রাসা গুলিতে বিজ্ঞান, ইংরাজি , কম্পিউটার  বদলে মৌলবাদী শিক্ষা  ,হিমন্ত সরকার মাদ্রাসার ছাত্রদের বিজ্ঞান ,কম্পিউটার  ডাক্তারি পড়াতে চাইছেন। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অপরাধ প্রবনতা বেশি।চুরি চামারি ধর্ষণ ক্ষেত্রে এই জনগোষ্ঠীর ময়ে বেশি।পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি   একই কথা বলেছেন। ছুরি চাকু  ধরা হাতে বই কলম তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন।  মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধ মৌলবাদী,অন্ধ বিশ্বাস ধারনা । তাবিজ কবজ  ,বেশি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  এই জনগোষ্ঠীর ধ্যান ধারনা  পাল্টিয়ে শিক্ষার  আলো পৌঁছিয়ে দিতে চাইছেন ।এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিশু বিবাহ বন্ধ ,ধর্ষণ সহ অপরাধজনিত কার্যকলাপ কমাতে চাইছেন।   বর্তমানে অবশ্য অসমের চার অঞ্চলের মানুষের মধ্যে শিক্ষা সচেতনতা বেড়েছে। স্থায়ী জমির  নথিপত্র যাদের আছে  যাদের সব রেকর্ড আছে। ভুয়ো নথি নয়।সেক্ষেত্রে সরকারকে  সেক্ষেত্রে  বিবেচনা করতেই হবে। জোর জবরদস্তি করে সরকারি জমি দখল মেনে নেওয়া যেতে পারেনা। যে সব পরিবার ৫০'৬০ বা তারও বেশি সময় ধরে অসমে বসবাস করছেন তাদের মানবাধিকার স্বার্থে বিবেচনা করতেই হবে।   যে ৫০০০ বিঘা জমি উদ্ধার হবে সেই জমিতে উচ্ছেদ করা গরীব মানুষগুলিকে চাষ আবাদের সুযোগ দেওয়া হোক। মেনে নিতেই হবে অসমের শ্রমজীবী শ্রেণীর মুসলিম জনগোষ্ঠীর পরিশ্রমের ফসল হচ্ছে গুয়াহাটি শহর। এই শহর নির্মাণে মুসলিমদের বিশাল অবদান রয়েছে। অসমের কাঁচা কাঁচা শক সবজি ডিম মাছ মাংস বাজার তারা নিয়ন্ত্রণ করে।তাদের পরিশ্রমের  ফল।  মুখ্য মন্ত্রী  এই উচ্ছেদ অভিযান কে সবথেকে বড় বলে উল্লেখ করে দাবি করেন ৯০ শতাংশ মানুষ নিজে থেকে সরে গেছে। এই ৪০০০ বিঘা জমি রাজ্যের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।








কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.