জামাই ষষ্ঠী উৎপত্তি কে কখন করেছেন
*জামাইষষ্ঠী উৎসবের উৎপত্তি*
হিউয়েন সাঙ তখন সবে ভারতে এসেছেন, এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর নিজের ডাইরিতে ভ্রমণ কাহিনী লিখে রাখছেন।
ভারতের অনেক জায়গা ঘুরে দেখান পর এই বাংলায় পদার্পন করেন, সময়টা ছিল মে মাস , প্যাচ প্যাচে গরম |
একদিন বাংলার একটি গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছে এমন সময় উলুধ্বনি শোনেন ।
এরকম উলু উলু ধ্বনি শুনে এই শব্দের উৎপত্তি কি!!
কেন এরকম আওয়াজ হচ্ছে!!
সেটা জানতে খুব উৎসাহ বোধ করলেন, এবং যে বাড়ি থেকে এরকম শব্দ আসছিল সেখানে ঢুকে পড়েন।
এরকম একটা অদ্ভুত চেহারার লোক কে বাড়িতে ঢুকতে দেখে দেখে বাড়ির বাকি পুরুষ মহিলারা অবাক এবং ভয় পেল কিন্তু ঐ বাড়িতে একজন পণ্ডিত মানুষ ছিলেন, তিনি সেই সময়ে দেশের নানা খবর রাখতেন |
হিউয়েন সাঙ নামক একজন চৈনিক পরিব্রাজকের নাম কানে এসেছিল, দেখেই চিনতে পারলেন এই সেই হিউয়েন সাঙ, তাই তাঁকে সাদরে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেলেন।
বাড়িতে পদার্পণ করেই হিউয়েন সাঙ দেখেন বাড়িতে খুব ভিড় , মহিলারা খুব সেজেগুজে আছে ,নিজেদের মধ্যে খুব হাসাহাসি করছে, একজন পুরুষ মানুষ ধুতি পাঞ্জাবি পরে মটিতে সুন্দর আসনে বসে আছে আর তার সামনে অনেক খাবার সাজানো।
সেই পুরুষ মানুষ কে ঘিরে যে সব মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন তারা নিজেদের জীব নাড়িয়ে ওই অদ্ভুত শব্দের সৃষ্টি করছেন।
হিউয়েন সাঙ তখন অনেকদিন হয়ে গেল ভারতের ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ভারতীয়দের আচার ব্যবহার সম্বন্ধে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছেন |
তাই,এই অনুষ্ঠান দেখে বুঝতে পারলেন এখনেই কোন একটা আনন্দ অনুষ্ঠান হচ্ছে।
কি অনুষ্ঠান হচ্ছে ? সে ব্যাপারে বাড়ির সেই পন্ডিত মানুষ কে জিজ্ঞাসা করাতে সে ইশারায় আকার ইঙ্গিতে জানিয়ে দিল এই বাড়ির একটা মেয়ের বিয়ে হয়েছে,বিয়ের পর প্রথমবার মেয়ে জামাই বাড়িতে এসেছে, এবং জামাইকে যত্ন করে খাওয়ানো হচ্ছে ।
হিউয়েন সাঙ দেখলেন জামাই এর সামনে ইয়া বড় থালা, আর থালা ঘিরে কুড়িটার ও বেশী বাটিতে নানা রকম ব্যঞ্জন সাজানো।
একে ভরদুপুর, তায় অনেকটাহেঁটে এসেছেন আর সামনেই এতো খাবার .....
এসব দেখে, হিউয়েন সাঙ এর ও খুব খিদে পেয়ে গেল।
তিনিও জামাইএর উল্টো দিকে একটা আসন পেতে নিজের ঝোলা থেকে একটা প্লেট, একটা চা এর কাপ , একটা টিফিন বক্স, একটা কেটলি আর একটা সসের বোতল বের করে রাখলেন।
তিনি প্রথম চা এর কাপে চা ঢেলে নিলেন, কারণ চিনাদের চা খুব প্রিয় পানীয়, তার পর টিফিন বক্স খুলে তার থেকে সাদা সাদা সুতোর মতো চাউমিন প্লেটে ঢেলে তার ওপরে সসের বোতল খুলে একটু সস ঢেলে খাওয়া শুরু করলেন।
ঐ বাড়ির লোকেরা চা কি জিনিস সেটা বা চাউমিন আর সসের সম্বন্ধে তাদের কোন ধারনাই ছিল না |
সাদা সুতোর মতো জড়ানোমোড়ানো একটা জিনিস তার ওপরে চাটনির মত লাল জিনিস, এরকম খাবার বস্তু তারা আগে কখন দেখেনি।
উল্টো দিকে বসা জামাইও এরকম খাবার দেখে অবাক।
হিউয়েন সাঙ তখন চোখ বুঝে তৃপ্তির সাথে চাউমিন উইথ সস অ্যান্ড টি খেয়ে যাচ্ছেন, হঠাৎ চোখ খুলে দেখেন বাড়ির সব লোক তো বটেই আর তার উল্টো দিকে বসা জামাই কেমন জুলু জুলু চোখে তার খাবারের দিকে তাকিয়ে আছে, তখন হিউয়েন সাঙ তাকে আর একটা প্লেটে একটু চাউমিন , সস আর আর কাপে টি খেতে অনুরোধ করলেন।
এই নতুন খাবারের স্বাদ পেয়ে জামাই তো হেভি খুশি, আর জামাই খুশি বলে বাড়ির বাকি সবাই ও খুব খুশি , বাড়ির আনন্দ উৎসবের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গেল সবাই মিলে হিউয়েন সাঙ কে ধন্যবাদ দিলেন।
আর হিউয়েন সাঙ ও এই ঘটনাকে নিজের ডাইরিতে লিখে রাখলেন “জামাই সস টি” উৎসব হিসাবে।
পরবর্ত্তী কালে, এক ইংরেজ অনুবাদক যিনি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী উচ্চপদে আসীন ছিলেন, চীনাভাষার সেই ডায়রীটাকে আবিস্কার ও অনুবাদ করার চেষ্টা করেন | কিন্তু “জামাই সস টি” ব্যপারটা বুঝতে না পেরে শব্দটি অবিকল ঐ একই রেখে দেন |
ইংরেজভক্ত রাজা নবকৃষ্ণ দেব ঐ ইংরেজকে খুশী করতে, ওনার অনুবাদমতন একটা অনুষ্ঠান শুরু করেন |
কালে কালে, এই অনুষ্ঠানই “জামাই সস টি” নামে পরিচিতি পায় | বিংশ শতাব্দীর বানান সংস্কারেরা পরে ণত্ব~ষত্ব বিধান মেনে “জামাইষষ্ঠী” বানানটি ব্যবহার শুরু করেন |
*এটি বিখ্যাত গুলেবাজ ঘনাদার ডাইরীর থেকে পাওয়া, রাতে এসে ঢিলের সাথে পাতাগুলো মুড়ে আমার পড়ার ঘরে ছুঁড়ে পালিয়েছে....*
(সংগৃহীত)
কোন মন্তব্য নেই