Header Ads

অসমে বাঙালিদের অপ্রাসঙ্গিক করে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে

অসমে বাঙালিদের অপ্রাসঙ্গিক করার প্রয়াস চলমান 
প্রদীপ দত্তরায় 
বর্তমান সরকার যে নীতি নিয়ে রাজ্য পরিচালনা করছে তাতে অসমের বাঙালীদের হাতে এবং ভাতে মারার পরিকল্পনা রয়েছে, এমন সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাঙালিকে কোন ঠাসা করে দেওয়ার জন্য খুব সুকৌশলে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনা করা, নেতৃত্ব থেকে বঞ্চনা করা, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাজন ঘটিয়ে এক্ষেত্রে সংঘাতের পরিবেশ রচনা করা  ইত্যাদি  বিষয় সুক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করলেই নজরে আসে। সাধারণ জনতা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল না হলেও যারা সমাজ সচেতন ব্যক্তি তাদের নজরে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঠিকই পড়ছে। এককালে যে অসমের প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাঙালিদের আধিপত্য ছিল, আজ তার অবশিষ্ট দেখা যায় না। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বাঙালির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। শিলংয়ে যখন অসমের রাজধানী ছিল তখন সচিবালয়ের অধিকাংশ কর্মী বাঙালি ছিলেন। কিন্তু এখন সচিবালয়ে বাঙালি কর্মী খুঁজতে দূরবীন ব্যবহার করতে হবে। এটা ধারাবাহিক পরিকল্পনারই অঙ্গ বলা যেতে পারে। অসমে বাঙালিরা মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। সে অনুপাতে কর্মসংস্থান,  রাজনীতি , সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই যে অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা তা কিন্তু নেই এই রাজ্যে। বঞ্চনার বিষয়টা এখানেই পরিষ্কার হয়ে যায়। এই বঞ্চনা নিয়ে আওয়াজ তুলার মত শক্তির এখন অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে দু চারজন ব্যক্তি এ নিয়ে সরব ভূমিকা পালন করতে উদ্যোগী হোন তাদের নানাভাবে অবনত করে রাখার জন্য কুটকৌশল রচনা করা হয়। সরব কন্ঠকে চাপা দিয়ে রাখতে পরোক্ষে ভীতিসঞ্চার করা হয়। হেনস্তার ভয়ে অনেকেই তাদের ভূমিকা একটু একটু করে বদলে ফেলতে বাধ্য হন। বঞ্চনার মধ্যে দিয়ে এ রাজ্যে সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা শুরু হয়েছে এ বিষয়ে অনেক কথাই বলার আছে। তবে এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে এই বিষয়গুলোকে যুক্তিসহকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.