নীলাচল পাহাড়ের মাথায় লাখো ভক্ত ভিজেই চলছে , নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি মাথায় ভ্রুক্ষেপ নেই তীর্থ যাত্রীদের ,
অমল গুপ্ত,২৪ জুন , গুয়াহাটি : প্রায় তিন দশক গুয়াহাটি বাসিন্দা হয়ে কামাখ্যা মন্দিরে সংলগ্ন ময়দানে মেলাতে গিয়ে গনেশ মূর্তি কেনা অভ্যাসে না নেশায় পরিণত হয়েছিল। এবার মেলা বসেনি।সবকিছু সমতলে ,মন্দিরে কাছ থেকে ফেরা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। অসুস্থ ,প্রতিকূলতা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সবকিছু নিয়ে মা কামাখ্যা আমাকে দূরেই রেখে দিল এবার।গুয়াহাটির অসম স্টেট হাউসিং কমপে ক্স আমার কোয়ার্টার "আপাতত" তে ১২৫ টি গনেশ মুর্তির এক সুদৃশ্য কাঁচের আলমিরা তে রাখা ছিল তা আজ অতীত। বকুল বন হাউসিং কলোনী আমার রোপণ করা চন্দন গাছ বেড়ে উঠছে তবে সুগন্ধ ছাড়াই নি। দুটি কাঁঠাল গাছে একটি কাঁঠাল কেটে আনলাম । দেবদারু, পেয়ারা , গাছ ,নিম , বেড়ে উঠছে । কলোনির ঘুমকাতুরে আমলকী গাছটা আজও বিকাল চারটার পরেই পাতাগুলি গুটিয়ে যায়। ভোরের সূর্য তাপে আবার জেগে উঠ আমলকী। ১৫ টি বকুল গাছ ছিল আজ ৯ টি আছে তাই বকুল বন হাউসিং কমপ্লেক্স ,হাতি গাও ,গুয়াহাটি ভেটা পারা , শান্ত পরিবেশ ,ঘুঘু ডাকা ক্লান্ত দুপুরে অনেক লিখেছি। এখন কলম থেমে গেছে। অনেক স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে আছে "আপাতত ।" বারান্দাতে বাংলদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিখ্যাত ছবিগুলি টাঙানো থেকে গেল। প্রথম পাসপোর্ট পেয়ে পত্নী সান্তনা গুপ্ত বাংলাদেশ সফরকালে সেই দেশের বিখ্যাত সাংবাদিক সোহরাব হাসান সেই মূল্যবান ছবিগুলো আলবাম সান্তনা গুপ্ত কে উপহার দিয়েছেন। সালটা সম্ভবত ২০০৮ । বহু স্মৃতির পরশ ,বহু অভিজ্ঞতা , মায়া জড়িয়ে রেখেছে। সেই স্মৃতির মাঝে জীবন জিজ্ঞাসা অপূরণীয় হয়ে থেকে হবে। কামাখ্যা মায়া, রহস্য, উপস্থিত সাধু সন্ত শ্মশান বসে তন্ত্র সাধনা করছেন।ভৌতিক রহস্য ,তন্ত্র মন্ত্র গুপ্ত পুজো নীলাচল পাহাড়কে ঘিরে রেখেছে। মন্দির বন্ধ হওয়ার পর গুপ্ত পুজো অনুষ্ঠিত হয়।তন্ত্র মন্ত্র র পীঠস্থান জ্যোতিষী তান্ত্রিক সমাবেশ ঘটেছে। অঘোরী বাবার, রহস্যে ভরা শক্তি পুজো নর মুন্ড নিয়ে তন্ত্র সাধনা এক ব্যতিক্রম কামখ্যাকে অন্যমাত্রা দিয়েছে। এটাই শক্তি ধামের বিশেষত্ব।ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভূতনাথ স্নশশানে মৃতদেহ সামনে রেখে সাধু সন্তরা তন্ত্র সাধনা করতে দেখা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই