Header Ads

দিশাহারা জোনাকি পোকা

মানুষের আলোর  বিপদে দিশাহারা জোনাকি পোকা

 জোনাকির আলো নিয়ে সঙ্গীত-সাহিত্যে কম রসিদ নেই। খোদ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "স্বপ্ন আমার জোনাকি দীপ্ত প্রাণের মণিকা...।
  কবিতার শব্দের মধ্যে দপদপে আলো জ্বলা এই পোকাদের খুঁজে পেয়েছিলেন হুমায়ুন আজাদ। কিন্ত বাস্তবে এ বার সেই জোনাকিরাই পড়েছে আলোর বিপদে মানুষের তৈরি কৃত্রিম আলোর দাপটে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলছে জোনাকিরা। বিপন্ন হচ্ছে জীবন।
    দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাঙালি বিজ্ঞানী সৃঞ্জনা ঘোষের গবেষণায় উঠে এসেছে সেই তত্ত্ব। তিনি জানাচ্ছেন, রাতের বেলা যে ভাবে আলো বাড়ছে, তা জোনাকিদের জীবনে কুপ্রভাব ফেলছে। ক্ষতি হচ্ছে নিশাচর এই পোকাদের। এই সংক্রান্ত গবেষণা জার্নাল অব ট্রপিকাল ইনসেক্ট সায়েন্স'-এ প্রকাশিত হয়েছে।
       এই পোকাদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে  এ রাজ্য থেকেই জোনাকির দু'টি নতুন প্রজাতিও আবিষ্কার করেছেন সৃঞ্জনা। তাদের একটি পাওয়া গিয়েছে সুন্দরবন থেকে এবং অন্যটি খাস কলকাতা থেকেই। সেই আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণাপত্র ওরিয়েন্টাল ইনসেক্টস' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা প্রাণীবিজ্ঞানী সুশান্ত কুমার চক্রবর্তীর অধীনে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বেথুন কলেজের প্রাণীবিদ্যার শিক্ষিকা সৃঞ্জনা। তিনি জানান, সুন্দরবন থেকে আবিষ্কৃত জোনাকির বিজ্ঞানসম্মত নাম দেওয়া হয়েছে ট্রায়াঙ্গুলারা নাম দেওয়া হয়েছে ট্রায়াঙ্গুলারা সুন্দরবনেনসিস এবং কলকাতা থেকে প্রাপ্ত প্রজাতির বিজ্ঞানসম্মত নাম দেওয়া হয়েছে মেডিয়োপটেরিক্স বেঙ্গালেনসিস। এগুলি জোনাকি জগতে লুসিয়োলিনাই গোত্রভুক্ত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.