অসমের কামাখ্যা ধামে গর্ভ গৃহে যোনি পুজো মন্দির দ্বার বন্ধ থাকে
অমল গুপ্ত: দেশের তীর্থ চূড়া মনি অসমের নীলাচল পাহাড়ের কামাখ্যা ধাম,হাজার হাজার গাছ গাছালি লতা পাতা বৃষ্টিস্নাত, গাছপালা থেকে টুপ টুপ সোনা ঝরছে আঁকাবাকা পাহাড় ঝর্ণার শব্দ স্রোত লাখ ভক্ত প্রাণ মানুষের পদ চিহ্ন এঁকে দিয়েছে । পিচ্ছিল পথে ভক্ত দের ভিড় ,ম্যারাথন শাল সেগুন , লামপাতিয়া আমলকী ,কাঁটা ঝোপ আবৃত সবুজ পাহাড় মাথায় মা কামাখ্যা ধাম ।বিশ্ব মাতার গর্ভ গৃহে যোনি পুজোর আয়োজন, দেবীর পতিত যোনি ,বিশ্ব মাতার সৃষ্টির সাধনা ,এই ধরিত্রী গর্ভবতী হন তাই চারদিন পবিত্র মন্দিরে গৃহ প্রবেশ নেই। হিন্দু বিধবা মহিলাদের ভিড় চারদিন উপবাস ,ত্যাগ । সারা বিশ্বে এমন রহস্য ভরা ধর্মীয় উৎসব আর দ্বিতীয় টি আছে কিনা সন্দেহ,এই চারদিন মাটিকে কর্ষণ করা হয়না।গাছের ডালপালা কাটা হয়না। হিন্দু বিধবা চারদিন উপবাসে কাটান।তাদের এ পবিত্র ধর্মাচরণ আত্মত্যাগের উৎসব। আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহে অম্বুবাচী মেলায় ভক্ত দের ঢল নামে। নীলাচল পাহাড়ের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের ছোট্ট দ্বীপ উমানাথ বা উমানন্দ সবুজ ঘেরা দ্বীপে মা কামাখ্যা স্বামী উমার আদি মন্দির দর্শন তীর্থ যাত্রীদের অবশ্য কর্তব্য।নতুবা মা দর্শন পুণ্যতা পায়না। অপুর্ব সুন্দর মনোরম ব্রহ্মপুত্র নদে লঞ্চ বসে দ্বীপে যেতে হয়। মা কামাখ্যা বাবা উমা নন্দ মিলে পবিত্র দর্শন বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়।দেশের ৫১ পিঠের অন্যতম পিঠ কামাখ্যা , উমা নন্দ মন্দির।অম্বুবাচী মেলা তে লাখ লাখ ভক্তের সমাবেশ ঘটে। কাছারি ঘাট থেকে রোপওয়ে তে উত্তর গুয়াহাটি দিগেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের উপর দিয়ে যাত্রা এক অনন্য অভিজ্ঞতা, সারা জীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে। রোপ ওয়ে থেকে তলে সবুজের মাঝে উমানন্দ দর্শন হবে উপরি পাওনা। পর্যটকদের। বর্ষা স্নাত ব্রহ্মপুত্র দুপাশে সবুজ পাহাড় আলিঙ্গন করেছে মা কামাখ্যা ,বাবা উমা নন্দ কে উভয় উভয়ের পরিপূরক, উভয়ের চারণ স্পর্শ পর্যটকদের দর্শন পরিক্রমা সম্পর্ণ হয়।
।








কোন মন্তব্য নেই