৪০ হাজার টাকা দিলেই আধার কার্ড
৪০ হাজার দিলেই হাতে 'আসল' কার্ড
বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে এসে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করাচ্ছেন অনেকে। ভোটার-তালিকায় নামও তুলেছেন। কী করে?
বাইরে ঝকঝকে গ্লো-সাইনবোর্ড, তাতে লেখা 'ডিজিটাল সেন্টার'। নীচে ছোট ছোট অক্ষরে লেখা 'এখানে ফটোকপি, প্রিন্ট, ছবি-সহ যাবতীয় কাজ করা হয়'। আর এই 'যাবতীয়'র আড়ালেই লুকিয়ে রহস্য। জাল আধার, ভোটার কার্ডের চক্র কাজ করে সেখানে।
জেলা মুর্শিদাবাদ। জলঙ্গি সীমান্ত। পঞ্চায়েত ঘোষপাড়া। এক সময় চোরাকারবারের দৌলতে সীমান্ত থেকে মেরেকেটে পাঁচ কিলোমিটার দূরে সেখানে তৈরি হয়েছে এক ছোট্ট গঞ্জ। সেখানে ব্যবসা এখন মন্দা, দাবি স্থানীয়দের। কিন্ত সেখানে কাচের দরজা লাগিয়ে ঝকঝকে ডিজিটাল সেন্টার খুলে বসেছেন এলাকার এক যুবক। জমঝমে বৃষ্টি মাথায় করে চোরাপথে সেখানে পৌঁছেছেন বছর আঠাশের কাস্টমার। যুবক বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার বাংলাবাজারের বাসিন্দা। ছিলেন এ রাজ্যের আত্মীয়ের বাড়িতে। সঙ্গে এলাকায় শাসক দলের এক নেতার সঙ্গী। তিনি আধার কার্ডের প্রসঙ্গে তুলতেই ডিজিটাল সেন্টারের মালিক বলেন, "ও সব এখন হচ্ছে না কাকা। অনেক ঝামেলা।" নেতা- সঙ্গী পাল্টা বলেন, "কত লাগবে বলো?" বেশ কিছুক্ষণ চলে দর কষাকষি। শেষে 'ডিজিটাল সেন্টার '- এর মালিক সাদা কাগজে ফোন নম্বর লিখে দিয়ে বললেন, "রাতে ফোন করবেন, জানাব।"
কোন মন্তব্য নেই