
অমল গুপ্ত ,১জুন ,গুয়াহাটি ,কোলকাতা গুয়াহাটি সহ সারা রাজ্যে বন্যার তান্ডব শুরু হয়েছে।অন্যবারের মত কয়েকটি জেলাতে বন্যা দেখা গেছে। গুয়াহাটি পাহাড় ধসে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধুবড়ি গোয়ালপাড়া , বড় পেটা ইত্যাদি জেলাতে বন্যা দেখা গেছে। গুয়াহাটি বন্যা তে লাগাতার বৃষ্টি পাঁচ জন পাহাড় ধসে মারা গেছে।মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন।তিনি ত্রাণ পানীয় জল জরুরি নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক বসেন শানি রবিবার ছুটি ঘোষণা করেন। বিশেষ হেল্প লাইন বসানো হয়েছে। ত্রিপুরায় সিফাইজলা জেলার বুড়িমা নদী টে সেতু ভেঙে পড়েছে। মালি গোঁ অঞ্চলে ভূমিধ্বস দুজনের মৃত্যু হয়েছে।ম্যানহোলে পড়ে যান এক যুবতী।বেঁচে যান ।ইউ এস টি এমের পাহাড় ব্যাপক ধস।।শিলচর হাফলং জাতিঙ্গা ইত্যাদি অঞ্চলে ধস নেমেছে। ধুবড়ী বড়েপেটা ভয়ঙ্কর বন্যার তান্ডব। দেখা গেছে।গুয়াহাটি মহানগর সবটাই বন্যা প্লাবিত।শহরে নৌকা চলছে। বিজেপি স্মার্ট সিটি আজ প্রহসন পরিণত।নিকাশি ব্যবস্থা নেই বললে চলে।গুয়াহাটি উপকন্ঠে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে পাহাড় প্রকৃতিকে ধংস করা হয়েছে।অসমের একাংশ সাাংবাদিকতা,মেঘালয় সরকার এই ধংস লীলাকে সমর্থন করছে।মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একাই লড়ে হচ্ছেন। ত্রিপুরা ,অরুণাচল প্রদেশ নাগাল্যান্ড, অসম , ইত্যাদি রাজ্যে বন্যায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আকাশবাণী কলকাতা সূত্রে জানা গেছে। অরুণাচল প্রদেশ,৯ জন অসমে ,৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটি খানাপাড়া থেকে বিমানবন্দরের কাছাকাছি সবটাই জলমগ্ন।বরাকের শিলচর বরাক নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজ্যের কোনো নদী ড্রেজিং শিলচর গুয়াহাটি কোনো শহরে নিকাশি ব্যাবস্থা নেই। মেঘালয় ,অরুণাচল প্রদেশ জলে ভাসছে অসম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক হাস্যকর কথা বলেছেন।তিনি বলেছেন অসমে গোটা পঞ্চাশ পুকুর খনন করে বন্যার বাড়তি জল ধরে রাখা জেবে। অসমে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক প্যাকেজ বন্ধ করে দিয়েছে।আগের ঘোষিত প্যাকেজ আজও দেই নি। রাজ্যে সরকার নিজস্ব সামান্য অর্থে নদী বাঁধ গুলো তালি তাপ্পা মেরে চালাচ্ছে।আজ পর্যন্ত বরাক ব্রহ্মপুত্র নদে স্থায়ী ভাবে বন্যা প্রতিরোধে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যের বাজেটের সিংহভাগ টাকা বাৎসরিক বন্যার ত্রাণ সাহার্য্য টাকা ব্যয় হয় যায়। এতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
কোন মন্তব্য নেই