ডাক্তার অর্ধেন্দু কুমার দে অবর্তমানে হোজাই কংগ্রেস দিশাহারা
Bijoy chakrabarty hojai :লোকসভায় ভালো ফলাফল লাভ করতে সক্ষম হলেও বর্তমান সময় একদমই ভালো যাচ্ছে না শতাব্দী প্রাচীন রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের।
আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির দ্বারা নিযুক্ত ২৬৩ জন ব্লক সভাপতিকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় ক্ষোভের আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বাকী নেই হোজাই জেলা।
এবার নবনিযুক্ত সভাপতি অভিজিত দাস (নাতুন) কে কেন্দ্র করে বহুধাবিভক্ত হোজাই শহর ব্লক কংগ্রেস!
গত দুসপ্তাহ ব্যাপী চরম বিসম্বাদ এবং লবীকেন্দ্রীক রাজনীতি অব্যাহত হোজাই শহর ব্লক কংগ্রেসের অন্দরমহলে!
প্রাক্তন প্রয়াত মন্ত্রী ড৹ অর্ধেন্দু কুমার দে এর অবর্তমানে অভিভাবকহীন অবস্থায় পরিণত হোজাই কংগ্রেস।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্–মুহূর্তে ঘর গোছানোর পরিবর্তে বর্তমান কংগ্রেসের দুই শিবিরের মধ্যে তুমুল কাদা ছড়াছড়ি। একদিকে অভিজিত দাস শিবির এবং অন্যদিকে দেবব্রত সাহা শিবির।
অভিজিত দাস হোজাই পৌরসভার কমিশনার এবং দেবব্রত সাহা গতবারের প্রতিযোগী প্রার্থী।
গত ৮ মাৰ্চ, ২০২৪ তারিখ আসাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটি ২৬৩ জন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি নিযুক্তি প্ৰক্ৰিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, আৰ্থিক লেনদেনের অভিযোগ সহ অভিজিত দাসের জায়গায় মুকুন্দলাল দাসকে (অ–কংগ্ৰেসী ব্যক্তি) নিযুক্তি প্রদানের দাবি উত্থাপন করে আসাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটি – অবিসি বিভাগের উপাধ্যক্ষ তথা হোজাই শহর ব্লক কংগ্ৰেস থেকে নির্বাচিত আসাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটির অন্যতম সদস্য জয়প্ৰকাশ গুপ্তা গত ১৭ই মার্চ, ২০২৫ তারিখে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা আসাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটির তত্বাবধায়ক জিতেন্দ্ৰ সিংহ কে একটি অভিযোগ পত্ৰ ই–মেইল যোগে প্ৰেরণ করে।
উক্ত স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ পত্ৰটি পাওয়ার সাথে সাথে জিতেন্দ্ৰ সিংহ গতকাল আসাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটির সভাপতি ভূপেন কুমার বরা –কে তাৎক্ষণিকভাবে দিল্লী তে জরুরী তলব করে। ভূপেন বরা এবং জিতেন্দ্ৰ সিংহের ৯ এ কোটলা রোড স্থিত ইন্দিরা গান্ধী ভবনে এই সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, অভিজিত দাস শিবিরে রয়েছেন — পুর কমিশনার অনুপ রায় এবং বিশ্বজিত ঘোষ, সুপ্রতীম কর, মান্টি চৌধুরী, দীপক দেবনাথ, মিমো সাহা, শিবান্ত সারেন প্রমুখ।
অন্যদিকে, দেবব্রত সাহা শিবিরে রয়েছেন — অমর চাঁদ দে, তপন মজুমদার, বশির উদ্দিন আহমেদ, জয়প্ৰকাশ গুপ্তা, বিধান দাস, হৃষিকেশ রায় প্রমুখ।
কিন্তু দলের সংকটমোচনে মধ্যস্থকারীর ভূমিকায় মাঠে নেমেছেন — ঝিল্লী চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দত্ত, রতন দাস এবং আব্দুল রৌফ (লুকু) প্রমুখ।
এই ধরনের লবীকেন্দ্রীক রাজনীতির পরিবেশ বজায় থাকলে আগামী দিনে টিকেট কেন্দ্রিক সংঘাত এবং দলীয় ভাঙন চরম পর্যায়ে পৌঁছোবে বলে হোজাইর রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
কোন মন্তব্য নেই