মহাকাশ যাত্রী সুনিতার ভাগবত গীতা ,গণেশের প্রতি অগাধ বিশ্বাস
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি ১৯ মার্চ : আমেরিকার পদার্থ বিদ্যার স্নাতক নাসার বিজ্ঞানী এর আগেও দুবার মহাকাশ সফর করেছেন। সুনিতার আদি বাস ভারতের গুজরাট বাবা দীপক পন্ডিযা ,বিয়ে করেছেন আমেরিকার এক ইঞ্জিনিয়ার কে বয়স৫৯ বয়স। মহাকাশে অভিজ্ঞতা থাকা নাসার বিজ্ঞানী গত জুন মাসে বিজ্ঞানের নানা পরীক্ষার জন্যে মহাকাশে গিয়েছিলেন ।আবার মাত্র ৮ দিনের জন্যে গিয়ে প্রায় ৯ মাস হয়ে গেল। ৯ মার্চ ভোর ৩,২৭ মিনিটে আটলান্টিক মহাসাগরে চারটি প্যারাসুট থেকে সুনিতার ক্যাপসুল সাগরে জলে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেই ব্রাহ্ম মুহুর্তে এক ঝাক ডলফিন ভারত কন্যা কে অভ্যর্থনা জানায়। গুজরাটের মোদীর রাজ্যে মানুষ হয়েছে সুনিতার পরিবার সংরক্ষণ শীল। পরিবারের সদস্য হিন্দু ধর্মের পুজো অর্চনা ভাগবত গীতা পাঠ
এই সবে গভীর বিশ্বাস ভক্তি সুনিতার । সুনিতার ব্যাগে এক ছোট্ট গনেশ মূর্তি আর ভাগবতের কপি নাকি পাওয়া গেছে বলে অসমীয়া চ্যানেল সূত্রে জানা গেল। মধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে শুধুই ভাসছে সুনিতা আর বুচ ,ভেসে তাদের দৈনন্দিন জীবন চর্চা। বড় কষ্টের। নিজেদের ।প্রস্রাব অন্য ছোট নলের মাধ্যমে শোধন করে পানীয় জল করে খেতে হচ্ছে। মল কেও এক প্রক্রিয়া মাধ্যমে সলিড করা হচ্ছে। ৮ দিনের বদলে ২৮৬ দিন ৫৮৩ গ্যালন জলের ট্রাঙ্ক থেকে জল নিয়ে তাদের দুজনের আকাশে শূন্যের মাঝে ভাসমান সংসার। জল তরল নয় জে লির মত আঠালো। গ্রাভিটি বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে কোনো চেয়ার এ বসা শোয়ার ব্যবস্থা নেই। স্লিপিং ব্যগে নিজেদের ভরে ক্লিপ দিয়ে আটকে থাকতে হয়।সবসময় ভাসা আর ভাসা। এই শক্তির প্রভাবে মাথার চুল সবসময় উপর দিকে উঠে । আমেরিকা হিউস্টন স্পেস সেন্টার থেকে পাঠান মাছ মাংস অন্য খাবার প্যাকেটজাত করে পাঠানো হয়। সুনিতা র গরম করে যাচ্ছিলেন। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কুপ্রভাব পড়ে শরীরে . দ্রুত ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়। শরীরের পেশী har ক্ষয় রোগ ধরে। হাতে পায়ের ব্যালেন্স জিরো । শিশুর হাত পায়ের মত নরম থলথল করে। হুয়িল চেয়ার আর স্ট্রেচার শুয়ে কাটাতে হবে কয়েক মাস। পৃথিবীর মেয়েরা দেখুক একজন মেয়ের কি অপার ধৈর্য্য কষ্ট করার ক্ষমতা।কলকাতার বা গুয়াহাটি শহরের ছলে মেয়েরা বিউটি পার্লার জিম , মদ ছাড়া এই কঠোর জীবনের কথা ভাবতে পারবেন কি। একজন বিদেশী বিজ্ঞানী গীতা পাঠ করছেন।গণেশের চরণে ফুল দিচ্ছেন ভাবতে পারবে কি,। সুনিতার হাতে গণেশের ট্যাটু , ভাবাই যাচ্ছে না। যে নারী রাত ৯টাই বাড়ি ঢুকলে সমাজ দুর্নাম ছাড়াই সেই নারী ৮মাস পর পৃথিবীতে ফিরলে সারা বিশ্ব নতজানু ।








কোন মন্তব্য নেই