Header Ads

অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ ব্যতীত বরাক উন্নয়ন হবে না :প্রদীপ দত্ত রায়

অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ ছাড়া বরাক উন্নয়ন বিভাগ অর্থহীন 
প্রদীপ দত্তরায় 
আর্থসামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বরাক উপত্যকার উন্নয়নের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা এখন একান্ত জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। বোরাকের বঞ্চনা দূর করতে নানা সময়ে পৃথক রাজ্যের দাবী বা পৃথক কেন্দ্রীয় শাসতিও অঞ্চল গঠনের দাবি বারবার তোলা হয়েছে। কিন্তু এসবের পক্ষে প্রবল জনম ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে এই দাবির যথার্থতা থাকলেও তা পূরণে কেন্দ্র আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে।  বিগত সরকারগুলির আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বরাক উপত্যকাকে নানা দিক থেকে বঞ্চিত করে আসা হয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক প্রগতি থমকে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল উন্নয়নের হাত ধরে এগিয়ে গেলেও এ অঞ্চল এখনো মান্ধাতার  আমলেই পড়ে রয়েছে। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার পাহাড় জমে আছে। এই সমস্যা নিরসনের জন্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমজনতার চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য কেবলমাত্র আশ্বাসের ফানুস ফুলিয়ে বড় করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি সড়কের উন্নয়ন, শিলচরে ফ্লাইওভার তৈরি ইত্যাদি অসংখ্য আশ্বাস দেওয়া হল সেগুলির বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নজরে পড়ছে না। বরাক উপত্যকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল সেগুলি নেওয়া হচ্ছে না। কেবলমাত্র মন্ত্রিসভায় বরাক উপত্যকা বিভাগ সৃষ্টি করেই এ অঞ্চলের উন্নয়ন সাধিত হতে পারে না। বিষয়টি গভীর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা প্রয়োজন। কর্মক্ষম মানুষদের জন্য যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে একটি অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আসা সম্ভব নয়। কৃষি, শিল্প , বন ,খনি এবং সার্ভিস সেক্টরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কারণ এই সবগুলি ক্ষেত্রেই উন্নয়নের প্রচুর সম্ভাবনা নিহিত হয়ে আছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কোন সদর্থক প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে না। বরাক উপত্যকার কর্মক্ষম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান দেওয়ার ব্যর্থতাকে সামনে রেখে আওয়াজ উঠানোর প্রয়োজন। এইসব সমস্যা নিয়ে যে বুদ্ধিজীবী মহলের সরব হওয়ার কথা তারা তা না করে দলীয় রাজনীতির মোহে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। ফলে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রবলভাবে সরব হওয়ার মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে। এটা বাস্তবে খুব উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু একটি মহল এসব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে আসছে এবং সাব্যস্ত করে যাবে। আজ না হোক কাল সচেতন মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.