বাংলদেশে জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ, নির্যাতন অব্যাহত পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির রুটি সেঁকা চলছে
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা : বাংলদেশে র লাখ লাখ অত্যাচারিত হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে প্রাণ ভয়ে চলে আসার জন্যে উদগ্রীব। কার্তিক মহারাজের আশঙ্খা বাংলদেশে হিন্দু শূন্য করার গভীর চক্রান্ত চলছে। ইসকনের বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা জেহাদ ঘোষণা করেছে। জেল বন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে জামিন চাইতে গেলেই মুসলিম জামাত মৌলবাদীরা মারধর করছে।হত্যার ভয় দেখাচ্ছে। ১৭০ জন জামিন চাওয়া আইন জিবির বিরুদ্ধে অত্যাচার করা হচ্ছে। আর এপারে রাজনীতির রুটি সেঁকা চলছে।পারস্পরিক দোষারোপ চাইছে। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের সম্প্রীতির জয় বাংলা শ্লোগান নিশ্ছিদ্র করা হয়েছে। ওখানে দেওয়াল লিখন চলছে "ভারত কে ঘৃণা কর না করলে বাংলদেশে থাকা যাবে না।" হিন্দুত্ব বাদী বিজেপি সরকার হিন্দুদের উপর অত্যাচার দেখেও চুপ। ভাবতে অবাক লাগে বাঙালি হিন্দু নেতা নেতাজি সুভাষ চট্রগ্রামের, সূর্যসেন , ক্ষুদিরাম, বিনয় ,বদল দিনেশ লাখ হিন্দু রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছ । কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই হিন্দুদের জীবন জীবিকা রক্ষা করতে পারছে না। মুসলিমদের লাগাতার অত্যাচার মেনে নিতে হচ্ছে। এর থেকে অনুতাপ আর লজ্জার কথা কি হতে পারে? প্রথম প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহরু সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন বাংলদেশে সাবেক পূর্বা পাকিস্থানে অত্যাচারিত প্রতিজন হিন্দুকে ভারতে নিরাপত্তা জীবন জীবিকা সুনিশ্চিত করা হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ,বিজেপি উপ প্রধান মন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানি পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে হিন্দু রক্ষার কথা বলেছিলেন। আর আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলদেশে হিন্দুদের রক্ষা করতে পারছে না কেন ? সুপ্রিম কোর্টের এক সিনিয়র আইনজীবী রথীন্দ্র ঘোষ চট্টগ্রামে জেল বন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন চেয়ে কোর্টে আবেদন করার দিন মৌলবাদী আক্রমণ করে। আজ আবার আবেদন করবেন। আইনজীবী ঘোষ বলেন দেশটাকে তারা স্বাধীন করেছে দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। এই বয়স্ক আইন জীবি সাহসের পরিচয় দিচ্ছেন।আর আমাদের দেশের হিন্দু নেতারা সব চুপ। কলকাতার হিন্দু বুদ্ধিজীবী লেখক সাহিত্যিক সব চুপ। তাদের কোনো দোষ নেই কারণ বাজারে আর মোমবাতি পাওয়া হচ্ছে না।কীকরে প্রতিবাদ করবে মোমবাতি জ্বালিয়ে শান্তি মিছিল করা যাচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই