Header Ads

পদ্মা পাড়ে হিন্দুরা বিপন্ন,গঙ্গাপারের হিন্দুরা বিস্ময়কর ভাবে চুপ

অমল গুপ্ত,কান্দি জেল রোড ,মুর্শিদাবাদ:  ১৯৪৭ সালের  থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সময় থেকে ওপারের হিন্দু জনগোষ্ঠীর উপর লাগাতার অত্যাচার চলছে   সংসদে   জহরলাল নেহরু ,লালবাহাদুর শাস্ত্রী ,লাল কৃষ্ণ আদবানি  বিভিন্ন সময় ভাষণ দিয়ে হিন্দুদের উপর নির্যাতন অত্যাচারের নিন্দা করেছিলেন। হিন্দুদের জীবন সম্পত্তি  নিরপত্তা দেওয়ার  নাগরিক মর্যাদা দেওয়ার

 হাজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।ভারতে আসা হিন্দুদের বোনাফাইড রিফিউজি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে  সুরক্ষার সব আস্বাস দেওয়ার ভুরি ভুরি রেকর্ড সংসদে আছে। পরে ১৯৭১ সালে বাংলা দেশ  গঠনে  তিরিশ লাখ বাঙালি প্রাণ আহুতি দিয়েছেন। বাঙালি হিন্দু নারীদের হাজারে হাজারে ধর্ষণ করে নির্মম ভাবে  হত্যা  করে পাক বাহিনী। হিন্দুদের সংখ্যা বেশি ছিল।বাংলদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া  বাঙালি  হিন্দুদের রক্তে পদ্মা লাল হয়ে যায়।। সেই রক্ত আজও ঝরছে।ভারতের মুখ লুকানো হিন্দু নেতা , জন নেতা  যারা আজ সমাজে   ভারতে সু প্রতিষ্ঠিত  মানুষ যাদের  বাংলাদেশে বড় বড় প্রসাদ অট্টালিকা  অবহেলায় পড়ে আছে। সেই উচ্চবর্গের বাঙালি হিন্দু নেতারা হিন্দুদের নিপীড়ন অত্যাচার দেখেও নীরব।বিস্ময়কর চুপ।বাংলদেশে ,১০ কোটির বেশি বাঙালি হিন্দু থেকে আজ  লাগাতার অত্যাচার  চলার পর দু কোটির থেকেও কমেছে। বাংলার জ্যোতি বসু ,নেতাজি সুভাষ ,বিধানচন্দ্র রায় ,সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুচিত্রা সেন  ,থেকে বাংলার বড় বড় নেতার শিকড়  বাংলাদেশে আজও  ভগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে।তারাই আজ নিজেদের পূর্বপুরুষ কে অস্বীকার করতে চাইছেন। টিভির পর্দায় বঙ্গ ভিটার করুন ছবি দেখা যাচ্ছে।,বাংলাভাগের পর হিন্দুরা ভারতে আসবে মুসলিম র নিজের দেশ সাবেক দেশ পূর্ব পাকিস্থানে ফিরে যাবে এই  বিশ্বাসের আধার 
 বাস্তবায়িত হল না।বাংলাদেশ  ছেড়ে একাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এপারে এসেও আবার ফিরে যায় পরে আবার আসে।পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে চলে আসা বাঙালি হিন্দুদের  সঙ্গে  সংঘর্ষ সূত্রপাত হয়।  বাংলাদেশ মুজিব জামানায় শত্রু সম্পত্তি ফিরে পাবার এক রাস্তা তৈরি হয়েছিল। সে আজ বন্ধ।এক বিবিদামান পরিস্থিতিতে  সংঘ পারিবারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি ,এবং ধর্মগুরু প্রনবা নন্দ মহারাজ  প্রথম  বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হিন্দুদের নিজস্ব হোম ল্যান্ড গঠনের চেষ্টা শুরু করেন।সেই  স্বপ্ন কে  সম্ভবত সাকার করতে চাইছেন আজকের   চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজ।ইসকন ভক্ত ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বের একশটি দেশের বাইরেও।কোটি কোটি হিন্দুদের এক জোট বেঁধেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেল ডাঙ্গার ভারত সেবাশ্রম  সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ আজ দাবি করেন  চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের  হাত ধরে বিশ্বের হিন্দুরা এক জোট হচ্ছে তাতেই ভয় পাচ্ছে   বাংলাদেশ l ভয় পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকরা ও। পদ্মা পাড়ের সব হিন্দু পশ্চিম বঙ্গর জমিতে  এলে সমুহ বিপদ।এই রাজ্যের মুসলিম র ভালো চোখে দেখবে না। হিন্দু মুসলিম  সম্প্রীতির দেশ সদ্ভাবের দেশ গড়ে উঠেনি।সাম্প্রদায়িক  বিভাজনের দেশ গড়ে উঠেছে।যে দেশে নীতি নেই চরিত্র নেই। আজ নেতাজির হিন্দু মুসলিম নেই,  নজরুলের হিন্দু মুসলিম নেই,অরবিন্দর  বিবেকানন্দের হিন্দু মুলিম  আজ শুধু সোনালী অতীত। শুধু সাম্প্রদায়িক বিভাজনের দেশ গড়ে উঠেছে।যে দেশে সম্প্রীতি নেই।দেশ প্রেম নেই।নেতাজি কে ভুলে গেছে।বিবেকানন্দ আজ অতীত।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দূত নজরুল তিনিও  বিশ্বৃতির অন্ধকারে তলিয়ে গেছে।বেঁচে আছে সম্পদের বৈভব আর অহংকার ।বাংলা আর বাঙালি জাতি আজ শেষের পথে পা বাড়িয়েছে।বাঙালি কৃষ্টি সংস্কৃতি ভাষা সব শেষ করে দিচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নেতাজির বিবেকানন্দের  ক্ষুদিরামের রক্তের বাঙালিরা ,নাক উঁচু  বাঙালিরা । অন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।পদ্মা পাড়ের হিন্দুরা বিপন্ন  গঙ্গা পারের হিন্দুরা বিস্ময়কর ভাবে চুপ। ভূপেন হাজারিকার কন্ঠে" গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা তবে কেন প্রভেদ "কোথায় মানবতা ?





































কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.