নেতাজি কটন কলেজ দেশ পুনর্গঠনের রূপরেখা প্রস্তুত করে ছিলেন
জহরলাল সাহা :প্রথমতঃ নেতাজির জীবন সম্পর্কে একটা সাধারণ বস্তুনিষ্ঠ ধারণা। এটা হাতের কাছে রচনা বইতে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয়তঃ নেতাজির চরিত্রটি কী-করে তৈরী হল তার হদীস। এই প্রসঙ্গে তাঁর নিজের লিখিত আত্মজীবনীমূলক কথাগুলি সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ।
তৃতীয়ত:, যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আজকের প্রয়োজনীয় , তা হল - তাঁর উদ্দেশ্যটা কী ছিল? এর দুটা দিক। সেদিন সেটা ছিল স্বাধীনতা অর্জন। স্বাধীনতা অর্জনের পর ? দেশ গঠন।১৯৩৯ সালে তাঁর কটন কলেজে প্রদত্ত ভাষণে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়াটির রূপরেখা দিয়েছেন।
চতুর্থত: রাজনৈতিক লাইনটা কী ছিল? উত্তর - সমাজতন্ত্র। এবং সেটি সম্পূর্ণ রূপে বিবেকানন্দীয় বৈদান্তিক অদ্বৈতবাদ-সম্পৃক্ত। তার মাধ্যমে হিন্দু সমাজের প্রচলিত হীন ব্রাহ্মণ্যবাদী জাতিসমস্যার নিরসন সম্ভব, হিন্দু-মুসলমানের দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব, নারীকে কর্তৃত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
এই কাজে বাঙালির একটা সুস্পষ্ট বিশেষ ভূমিকা সম্পর্কে নেতাজি সচেতন ছিলেন।
আগামী দুটা মাস এই কথাগুলো নিয়ে কাজ করলেই নেতাজিকে নিয়ে প্রাথমিক সচেতনতার কাজটা শুরু হবে । তারপর চাকাটা নিজে থেকেই ঘুরতে শুরু করবে।
এর মধ্যে চালাকি এবং রাজনীতির কোনো স্থান নেই। ইতি -
শ্রী জহরলাল সাহা।
কোন মন্তব্য নেই