

অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড : ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দুরবর্তী গ্রাম আন্দুলিয়া গ্রাম আগের নাম ছিল আহুজা, এই আন্দুল শব্দের অর্থ অন্ন । এই পবিত্র মাটিতে এক তেঁতুল গাছ আজ ইতিহাসে জন্ম নিয়েছে। শোনা যায় জেমো রাজ বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা সাবিতা রায়ের বংশধর দের উদ্যোগে তাদের মানুষ আন্দুলিয়া গ্রাম দেবতা শীতলার সেবাইত রূপে নিযুক্তি পান।সেই থেকে শীতলা তলা পূজিত হচ্ছে।আমাদের বাপ ঠাকুরদার আগে এই তেঁতুল গাছের বয়স কয়েকশ বছর পেরিয়ে গেছে। নানা প্রজাতির পাখি, বিষধর সাপ এই গাছ এ বাস। লক্ষ্মী পেঁচা দেখা যায়। বার মাস তেঁতুল ধরে স্বাদ মিষ্টি। আমার মা লাল পেরে শাড়ি পড়ে তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পুজো দিতে আসতেন। শেষ পুজো দিল সান্তনা । বসন্ত রোগের চোখের রোগে এই পবিত্র স্থানে মাটি ঔষধের কাজ করে। আশ পাশ ৫০,৬০টি হিন্দু,- মুসলিম গ্রামের মানুষ শীতলা গাছটিকে গ্রামের অভিভাবক হিসাবে শ্রদ্ধা করে। নানা রোগ মুক্তির প্রার্থনা জানায়। সবার প্রার্থনা শোনেন এই শীতলা মা। এক অসমর্থিত খবর শুনে মন খারাপ হয়ে গেল শীতলা মা কে কি কেটে খণ্ড করা হবে? তলের জলা ভূমি মেলার প্রাঙ্গণ জমি কি বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে? প্রায় হাজার বছরের হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির মিলন বেদী যদি
কেটে টুকরো করা হয় তবে কারো ভালো হবে না। এই ভয়ানক পাপের ফল ভোগ করতে হবে।শীতলা দেবী অভিশাপ দেবেন । শুধু সবুজ প্রান্তরে সবুজ শান্ত বাতাস শীতলা তোলার মনোরম পরিবেশ স্বর্গীয় অনুভূতি বিশাল গাছ অতীত সোনালী ইতিহাসের সাক্ষী বহন করছে। যা মুর্শিদাবাদ জেলা বাসীর গর্ব।
চৈত্র মাসে, হলি উৎসবের সময় শীতলা দেবীকে ঘিরে উৎসব মেলা নাম সংকীর্তন উলুধ্বনি শঙ্খধ্বনি তে মুখরিত হয়ে উঠে চত্বর ৫০, ৬০ টি গ্রামের ভক্ত প্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করে। যদি জমি বিক্রি হয়ে যায় উৎসব ম্লান হয়ে যাবে।অতীত পরম্পরা বিনষ্ট হবে। গ্রাম দেবতা তেঁতুল গাছের ক্ষতি হলে হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে।
কোন মন্তব্য নেই