Header Ads

আরও পড়তে চায় তাহরিমা

moumita Das

আরও পড়তে চায় তাহরিমা রা 

সদ্য মিটেছে মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। পুলিশের গাড়িতে এ বার বাড়ি ফেরার পালা। মুখে হাসি না থাকলেও স্বস্তির ছাপটা ধরা যাচ্ছিল ষোড়শীর শরীরী ভাষায়। পুলিশকাকুদের প্রতি একবার কৃতজ্ঞতা-ও জানিয়ে দেয় সে। বাবার বাধার পেরিয়ে মাধ্যমিক বসা তাহরিমা খাতুন জানায় এখানেই থেমে যাওয়া নয়। আরো আরো পড়তে চায় সে। 
 মেয়ের পরীক্ষা আটকাতে চেষ্টার কসুর করেননি তাটকাতে বাবা রফিকুল শেখ। বাংলা পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পরই মেয়েকে ঘরবন্দি করে দেন তিনি। মার ধরো করেন বলে অভিযোগ। তাতেও অবশ্য দমে নি ওই ছাত্রী। বাবার চোখ এড়িয়ে শনিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে সে সোজা ফারাক্কা থানার পৌঁছে যায়। 
 পুলিশের কাছে সব খুলে বলে সে। এরপর আইসি, দেবব্রত চক্রবর্তী এবং তাঁর সহকর্মীরা তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন। 
 পরীক্ষা শেষে পুলিশই ওই কিশোরীকে তাদের গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এ দিন পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাহরিমার মা পলি বিবি বলেন আমরা যখন থানায় গিয়ে পৌঁছাই তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে কাঁদতে দেখে আইসি স্যার বিডিও স্যারকে  ফোন করেন। 
মেয়ের স্কুল ও ফোন করে সব ব্যবস্থা করে দেন। তারপর পুলিশের গাড়িতেই আমরা পরীক্ষাকেন্দ্র পৌঁছাই। আজ প্রশাসন এবং পুলিশ পাশে না থাকলে মেয়ের পরীক্ষা দেওয়াই হত না। 
 তাহরিমার বাবা রফিকুল শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁদের তিন মেয়ে এক ছেলে। আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন মেয়েটি কাছে সব শুনে আমি হতবাক হয়ে যাই। এরপর আমরাই গাড়িতে করে ওকে বাড়িতি সময়ও দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে তাকে রেখে দিয়ে আসি ওর বাড়িতে। 
     তাহরিমা বলেন আমি আরও অনেক পড়তে চাই। কিন্তু বাবা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। শুক্রবার বাংলা পরীক্ষাটা কোনোরকম দিয়েছি। তার পর থেকেই বাবা বেঁকে বসেন। শনিবার বাড়ি থেকে বেরোতেই দিচ্ছিলেন না। কিন্তু মা চান আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাই‌। তাই মাকে নিয়েই শেষ পর্যন্ত থানায় যাই।
 পলি বিবি বলছেন। স্বামীর বক্তব্য মেয়ে বড় হয়েছে। এ বার এর বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। তবে এখন কি ওর বিয়ের বয়স? ও আরও পড়াশোনা করবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই তো আমি চাইব। বহু চেষ্টা করেও সে কথা বোঝানো তাই মেয়ের সঙ্গ দিয়েছি। অশিক্ষিত থাকার কী যন্ত্রণা তা আমি বুঝি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.