অনলাইন সেবায় ভারতের জয় যাত্রা অব্যাহত : বাহারুল ইসলাম
অনলাইন সেবায় ভারতের জয়যাত্রা অব্যাহত: মেনিলায় বিশ্ব-সম্মেলনে ড: বাহারুল ইসলাম
২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, মেনিলা: ফিলিপাইন সরকারের উদ্যোগে তাগাইতে শহরে অনুষ্টিত হচ্ছে বিশ্ব পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশেষ অথিতি হিসাবে আমন্ত্রণ পেয়ে যোগ দিয়েছেন বরাকের কৃতী সন্তান অধ্যাপক ড: বাহারুল ইসলাম। উনি ভারতে ডিজিটাল পরিসেবার অগ্রগতি নিয়ে এক বিস্তারিত ভাষণে ভারতের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্প এবং এর মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে পরিষেবা সরবরাহ নিয়ে দেশের সফলতা নিয়ে আলোচনা করলেন। উল্লেখ্য যে ভারত তার নাগরিকদের জীবন পরিবর্তন করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম এর অধীনে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, বিভাগ, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির একাধিক প্রকল্পকে যোগ করে সারা দেশে এই কর্মসূচি ব্যপক সাড়া লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
দুদিন ব্যাপী বিশ্ব পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সম্মেলন ১-২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে ফিলিপাইনের তাগাইতে শহরে শহরের ডিএপি কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করছেন দেশের বিভিন্ন ব্যাচের ৩৭৪জন অসামরিক সেবার অধিকারিকরা যাদের এই দুই দিনের সম্মেলনে ফেলোশিপ, স্বীকৃতি এবং এক মূল্যবান শিক্ষার অভিজ্ঞতা দেয়। এবারের সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল “ডিজিটালাইজেশন সাফল্যের চাবিকাঠি মানবকেন্দ্রিকতা"। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বক্তারা অংশগ্রহণ করে আধুনিক বিশ্বে ডিজিটালাইজেশন এবং সাইবার নিরাপত্তার উপর তাদের মন্তব্য প্রদান করেন।
ড: ইসলাম তার ভাষণে ভারতের ডিজিটাল ক্ষমতায়িত সমাজ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন নিয়ে সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের এক সামগ্রিক চিত্র তোলে ধরেন। ডিজিটাল ইন্ডিয়া তিনটি মূল দৃষ্টিভঙ্গির উপর কেন্দ্রীভূত - প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি অবকাঠামো, চাহিদা অনুযায়ী সামাজিক পরিষেবা এবং নাগরিকদের ডিজিটাল ক্ষমতায়ন। উনার মতে ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রধান লক্ষ্য হল ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলি যাতে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনকে উন্নত লক্ষে ভারতের অর্থনীতিকে প্রসারিত করা, এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ভারত সরকার এই প্রোগ্রামের অধীনে নর্থ ইস্ট বিপিও প্রমোশন স্কিম (এনইবিপিএস) চালু করেছে, যার লক্ষ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য প্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবা শিল্পকে রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।
সারা দেশে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অধীনে গৃহীত কিছু মূল উদ্যোগের অন্যতম আধার আমাদের বায়োমেট্রিক এবং ডেমোগ্রাফিক ভিত্তিক পরিচয় প্রদান করে যা অনলাইন এবং প্রমাণযোগ্য। আধার সংবিধিবদ্ধ করতে একশো পঁয়ত্রিশ কোটিরও বেশি বাসিন্দারা নিজেদের নথিভুক্ত করেছেন। তাছাড়া গ্রামীণ কমন সার্ভিসেস সেন্টার গ্রাম পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের (ভিএলই) মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল মাধ্যমে সরকারি ও ব্যবসায়িক পরিষেবা অফার করছে। অন্যদিকে ডিজিটাল লকার রিপোজিটরিতে নথি আপলোড করার জন্য দেশে এখন প্রায় চৌদ্দ কোটির মতো ব্যবহারকারী রয়েছেন এবং এই ডিজিলকারের মাধ্যমে ৫৬২ কোটিরও বেশি নথি উপলব্ধ করা হয়েছে। ইউনিফাইড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ফর নিউ-এজ গভর্নেন্স (উমঙ্গ) সেবা নাগরিকদের মোবাইলের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য সহায়ক যেখানে ১৬৬৮টিরও বেশি ই-পরিষেবা এবং কুড়ি হাজারেরও বেশি বিল পেমেন্ট পরিষেবা উপলব্ধ করা হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত সবাই ভারতের ডিজিটাল পরিষেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ড: বাহারুল ইসলাম এই উপলক্ষে ফিলিপাইন সরকারের অধিকারিকদের জন্য এক বিশেষ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন।








কোন মন্তব্য নেই