বহরমপুর আবার হত্যাকাণ্ড
*ফের কেন খুনোখুনি বহরমপুরে*
এক সময় বহরমপুর রাজনৈতিক খুনোখুনি লেগেই থাকত। মাঝে সেটা বন্ধ ছিল। ফের রবিবার ভর দুপুরে নিজের নিমীয়মাণ ফ্ল্যাটের নীচের তলায় আততায়ীর গুলিতে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী খুন হলেন। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ফের কী খুনোখুনি খুনের সিন্ডিকেট রাজ ফিরতে চলেছে বহরমপুরে তবে পুলিশের দাবি সত্যে চৌধুরী খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন বহরমপুর শহরে খুন বহু দিন পরে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। এটা বহরমপুর শহরবাসীর নতুন করে উদ্বেগের কারণ বলে মনে করি। পুলিশকে
বলব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আস্থা বিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন। এই ঘটনা কেন ঘটল তা সকলের জন্য জানা জরুরি। রাতে সত্যেনবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর দেহে মাল্যদান করে আসেন সাংসদ আবু তাহের খান বলেন অনেক দিন বহরমপুরে এমন ঘটনা ঘটেনি। নতুন করে বহরমপুরে মাডার সিন্ডিকেটরাজ তৈরি হচ্ছে কি না বুঝতে পারছি না। পলিশ তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নিক। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন যে কোনও নির্বাচন এলে বহরমপুরে খুন হয়। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে দেখছি। নির্বাচনের আগে কখনও সিপিএম কখনও আরএসপির নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। এ বার লোকসভা নির্বাচনের আগে সত্যেনদা খুন হলেন। নির্বাচনের আগে পুলিশের উদঘাটন করা দরকার। তাঁর আরও দাবি খুনের সিন্ডিকেট রাজ চালুর চেষ্টা করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয়রা জানান এক সময় বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় খুনোখুনি লেগে থাকত। যার জেরে অশান্তিতে থাকতে হত শহরবাসীকে। ২০১১ সালের ১৫ মে বহরমপুর শহরের মোহনের মোড়ে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী কামাল শেখ। ২০১৫ সালে এপ্রিল পুরভোটের দিন সকালে থেকে নিখোঁজ ছিলেন বহরমপুর শহর লাগোয়া তারাকপুরের তৃণমূল কর্মী ইমান শেখ। তার পরের দিন কদবেতলয়া একটি বাড়ির গুদামে তলায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বহরমপুরে তংকালীন তৃণমূলের চিরঞ্জিং চক্রবর্তী গুলিতে খুন হন। তার পরেও অরাজনৈতিক খুন হয়েছে।
বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন এটা রাজনৈতিক খুন। ফায়দা লুটতে এটা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুন।
কোন মন্তব্য নেই