Header Ads

কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় ডি,লিট ডিগ্রি দিলেন বাহারুল ইসলামকে

কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক ড: বাহারুল ইসলামকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান  

নৈনিতাল: 19 জানুয়ারী 2024: আজীবন স্ব-প্রণোদিত শিক্ষাগ্রহণের নজির গড়লেন বরাকের কৃতী সন্তান আই আই এম কাশীপুরের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কে এম বাহারুল ইসলাম। কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজ তিনি ইংরেজিতে সর্বোচ্চ ডি.লিট. ডিগ্রী লাভ করলেন। উত্তরাখণ্ডের মহামহিম রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং আজ এখানে নৈনিতাল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টাদশ সমাবর্তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ড. ইসলামের হাতে এই ডিগ্রি তুলে দেন। উল্লেখ্য যে এর আগে ২০০০ সালে ইংরেজিতে এবং ২০১৫ সালে সোসাল ওয়ার্ক নিয়ে দুটি বিষয়ে পিএইচডি অধ্যাপক ইসলামের ঝুলিতে আছে। উনার ডি.লিট. থিসিসের শিরোনাম হচ্ছে - "ইন্টারনেটের যুগে ইংরেজির মৃত্যু: শিক্ষা এবং উদ্যোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার গুণগত সমস্যা"। ২০১৬ থেকে ২০২২ এই ছয় বছর ধরে উনার এই বিষয়ের উপর করা গবেষণার জন্য তাকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। উনার ছাত্র-ছাত্রী তথা সহকর্মীগণ ছাড়াও বিশেষ করে বরাক উপত্যকার শিক্ষানুরাগী মহল উনাকে এই কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকে মনে করেন করিমগঞ্জ জেলা থেকে এই প্রথম কোন অধ্যাপক ইংরেজি ভাষা শিক্ষার উপর গবেষণা করে এই সর্বোচ্চ ডি.লিট. ডিগ্রি লাভ করার বিরল সম্মান অর্জন করেছেন।

অধ্যাপক ইসলামের গবেষণা ভারতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার মান এবং বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার ইতিহাসের উপর দৃষ্টিপাত করেছে। ইংরেজিভাষী পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বছরের পর বছর ধরে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার মান কীভাবে খারাপ হয়েছে এই প্রশ্নে তিনি ইংরেজি শিক্ষক এবং উদ্যোগ-ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মতামত বিশ্লেষণ করেছেন। কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এল এম জোশি বলেন – “এমন গবেষকদেরই ডি.লিট. প্রদান করা হয় যারা তাদের অধ্যয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এবং মৌলিক অবদান রেখেছেন, এর জন্য চাই ব্যাপক গবেষণা। আমরা এটাকে ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ডক্টর ইসলামের আজীবন গবেষণা এবং পাঠদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করি। আমি নিশ্চিত তার এই কাজ ভারতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি দেখাবে।”

আইআইএম কাশিপুরের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ জেনা এই ব্যপারে বলেন – “আমাদের ইনস্টিটিউটের এক সহকর্মী এই স্বীকৃতি পেয়েছেন, এনিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। অধ্যাপক ইসলামের গবেষণা তাকে আমাদের শিক্ষণ-ক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তার ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছে। আজ তার ডি.লিট প্রাপ্তি বোঝায় যে তার কাজ আমাদের পাঠদানের উন্নতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।” এদিকে এই ডিগ্রী গ্রহণের পর এক বার্তায় অধ্যাপক বাহারুল ইসলাম তার ছাত্র ও সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান যারা ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাকে ক্লাসরুমে আরও গভীরতার সাথে পড়াতে এবং অ্যাকশন রিসার্চ করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন - "আমি কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও কৃতজ্ঞ যে আমার মতামত এবং গবেষণা করার জন্য আমাকে একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, আশাকরি এই কাজ ইংরেজি শিক্ষার বিকাশ এবং বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে”। 

একটি অভিনন্দন বার্তায় ধুবড়ির সাংসদ মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল বরাক উপত্যকার এক সন্তান এই ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে অধ্যাপক ইসলাম শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়াও এখন আরো সক্রিয়ভাবে  সরাসরি সামাজিক কাজে এবং জনগণের সেবা করার জন্য তার সময় ব্যয় করবেন। ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান  

নৈনিতাল: 19 জানুয়ারী 2024: আজীবন স্ব-প্রণোদিত শিক্ষাগ্রহণের নজির গড়লেন বরাকের কৃতী সন্তান আই আই এম কাশীপুরের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কে এম বাহারুল ইসলাম। কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজ তিনি ইংরেজিতে সর্বোচ্চ ডি.লিট. ডিগ্রী লাভ করলেন। উত্তরাখণ্ডের মহামহিম রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং আজ এখানে নৈনিতাল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টাদশ সমাবর্তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ড. ইসলামের হাতে এই ডিগ্রি তুলে দেন। উল্লেখ্য যে এর আগে ২০০০ সালে ইংরেজিতে এবং ২০১৫ সালে সোসাল ওয়ার্ক নিয়ে দুটি বিষয়ে পিএইচডি অধ্যাপক ইসলামের ঝুলিতে আছে। উনার ডি.লিট. থিসিসের শিরোনাম হচ্ছে - "ইন্টারনেটের যুগে ইংরেজির মৃত্যু: শিক্ষা এবং উদ্যোগের দৃষ্টিকোণ থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার গুণগত সমস্যা"। ২০১৬ থেকে ২০২২ এই ছয় বছর ধরে উনার এই বিষয়ের উপর করা গবেষণার জন্য তাকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। উনার ছাত্র-ছাত্রী তথা সহকর্মীগণ ছাড়াও বিশেষ করে বরাক উপত্যকার শিক্ষানুরাগী মহল উনাকে এই কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকে মনে করেন করিমগঞ্জ জেলা থেকে এই প্রথম কোন অধ্যাপক ইংরেজি ভাষা শিক্ষার উপর গবেষণা করে এই সর্বোচ্চ ডি.লিট. ডিগ্রি লাভ করার বিরল সম্মান অর্জন করেছেন।

অধ্যাপক ইসলামের গবেষণা ভারতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার মান এবং বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার ইতিহাসের উপর দৃষ্টিপাত করেছে। ইংরেজিভাষী পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বছরের পর বছর ধরে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার মান কীভাবে খারাপ হয়েছে এই প্রশ্নে তিনি ইংরেজি শিক্ষক এবং উদ্যোগ-ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মতামত বিশ্লেষণ করেছেন। কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এল এম জোশি বলেন – “এমন গবেষকদেরই ডি.লিট. প্রদান করা হয় যারা তাদের অধ্যয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এবং মৌলিক অবদান রেখেছেন, এর জন্য চাই ব্যাপক গবেষণা। আমরা এটাকে ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ডক্টর ইসলামের আজীবন গবেষণা এবং পাঠদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করি। আমি নিশ্চিত তার এই কাজ ভারতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি দেখাবে।”

আইআইএম কাশিপুরের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ জেনা এই ব্যপারে বলেন – “আমাদের ইনস্টিটিউটের এক সহকর্মী এই স্বীকৃতি পেয়েছেন, এনিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। অধ্যাপক ইসলামের গবেষণা তাকে আমাদের শিক্ষণ-ক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তার ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছে। আজ তার ডি.লিট প্রাপ্তি বোঝায় যে তার কাজ আমাদের পাঠদানের উন্নতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।”  




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.