বিশ্বে পরিবেশ ধংস হচ্ছে, উষ্ণতা বেড়েই চলেছে শীত মরশুমে শীত কোথায়?
মৌমিতা দাস:কান্দি ,মুর্শিদাবাদ
ডিসেম্বর মাসে আসতে না আসতে অনেক শীত পড়ে যায় কিন্তূ 2023 সালে এখানো তেমন শীত পড়েনি। কারন উষ্ণায়নজনিত নতুন পরিবেশ কমে যেতে পারে মানব- বান্ধব উদ্ভিদ আর প্রাণী। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এমন চলতে থাকলে আর বছর দশকের মধ্যেই উদ্ভিদ আর প্রানী মিলিয়ে অন্তত চল্লিশটি প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হবে, বিপন্ন হবে আমাদের চেনাজানা ৭০ শতাংশ পাখি। বৃষ্টিপাতের রকমফের আর আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা হিসেবে ম্যালেরিয়ার ভেক্টর মশা কিংবা প্লেগের ভেক্টর ইঁদুরের প্রাচুর্য কে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহ রোগজীবাণুর তীব্রতারও ররকফের ঘটায়। যদি বিশুদ্ধ পানীয় জলের জোগান কমে আর খাদ্যের পুষ্টি হ্রাস পায়, তবে রোগজীবাণুর উংসাহিত হয়। আমাদের স্বাস্থ্য হিসেব বলছে, জলবাহিত রোগে এ দেশে আক্রান্ত হন বছরে চার কোটি মানুষ, মারা যায় পনেরো লক্ষ শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, বছরে নয় লক্ষ মানুষ মারা যান দূষিত জল পান করে। উষ্ণায়ন এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।
আমার যে ভাবে বায়ুদূষণ করছি, বনভূমি উজাড় করছি, তাতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমান আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফিরে যেতে বাধা পাচ্ছে। আর তাই বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বাড়ছে, ঘটছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। এর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রথমত গাড়ি আর কারখানার ধোঁয়া কমাতে হবে। আর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার মাটির গভীরে যায় এমন গাছের সংখ্যা বাড়তে হবে। বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই