কান্দির সঙ্গে বিখ্যাত লালাবাবুর সুসম্পর্কের ইতিহাস
লালা বাবুর নামে মন্দির বৃন্দাবনে
মৌমিতা দাস : কান্দি
কান্দি হওয়া আসা প্রাচীন তমো উংসব হলো রাস উৎসব । এই রাস উৎসব বীগত ৫০০ বছর ধরে হয়ে আসছে। এই রাস উৎসব টি হয় কান্দির লালাবাবুর বাড়িতে হয় । লালাবাবুর ছিলেন কান্দিরাজবংশ ও লালাবাবু :-
এদেশের কায়স্থ কুল কারিকায়, উত্তর রাঢ়ী কায়স্থ গোষ্ঠীর যে বিবরণ পাওয়া যায় তাতে অনুভূত হয় অনাদিবর সিংহবিনায়ক রাজবংশের উৎস। বৃন্দাবনে লালাবাবুর একটি মন্দির ও রয়েছে।
তাঁর অষ্টম উত্তর পুরুষ লক্ষ্মীবর সিংহ, কায়স্থ কুলে গুরুতুল্য সম্মানে ভূষিত ছিলেন। তার সুপুত্র ব্যাসসিংহ।ব্যাস সিংহের ছেলে বলবানসিংহই অরণ্য সংকূল কান্দিতে প্রথম নগরের পত্তন করেন। বলবানের পৌত্র বিনায়কu কালে, কান্দির জমিদারের আসনপ্রাপ্ত হন। বিনায়কের পঞ্চম উত্তরপুরুষ জীবধরই একপ্রকার কান্দি রাজবংশের আদিপুরুষ।জীবধরের সপ্তম উত্তরপুরুষ হরেকৃষ্ণ সিংহের জন্ম 1650 খ্রিসতেন এবং সেই ভাগবতের বহু বহু অংশ তার কণ্ঠস্থ ছিল। তার হস্তক্ষর ছিল সুষম ও তিনি লিখতে পারতেন অতিদ্রুত। পিতামহ গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ, স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে লালাবাবুর বিয়ে দিয়েছিলেন, কান্দির সামিল রসোড়া গ্রামের গৌরমোহন ঘোষের কন্যার সাথে, উত্তর কালে যিনি সমাজে মহারানী কাত্যায়নী নামে অভিহিতা হয়েছিলেন।
অগ্রহায়ণ মাসে পূর্ণিমা তিথিতে শিতের মৌসুমে শুভো গীতা পাঠ করে শুরু হয় এই রাস উৎসব। রাস উৎসব ১৫ দিন ধরে হয়। ১৪ দিন ধরে হয় হরিনাম সংকীর্তন ও ১৫ দিনের মাথায় বাউল গান হয়ে এই রাস উৎসব সমাপ্তি হয়। এই রাস উৎসবে ১৫ দিন ধরে অনেকj বড়ো করে মেলা বসে। দূর দূরান্তে থেকে লোক আসে এই মেলা দেখতে। এই মেলাতে শংসারে অনেক খুটিনাটি জিনিস পাওয়া যায় এবং খাওয়া জিনিস ও পাওয়া যায়। যেমন পাপড়, ফুচকা, পাপড়িচাট, বাদাম, ইত্যাদি। ১৫ দিন ধরে এই রাসের মেলা সম্পন্ন হয়।








কোন মন্তব্য নেই