কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ জিতে গেলেন রেকর্ড গড়লেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি: বরাক উপত্যকার সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মধ্যে টানাপড়েন চলছেই ।মাঝে মাঝে উত্তপ্ত হয়। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার গণ্য মান্য মানুষ আজও বরাক বাসীকে মেনে নিতে পারেন নি।হোমেন বড়গোহাই এর মত বিশিষ্ট ব্যাক্তিও বলে গেছেন" বরাক ক্যানসার তাকে কেটে ফেলতে হবে।" গতকাল অসম বিধানসভায় বাংলা ভাষা নিয়ে অধিকার রক্ষায় কংগ্রেস বিধান পরিষদীয় দলের উপ নেতা কমলা ক্ষ দে যে ভাবে একাই লড়ে গেলেন তার পাশে বরাকের বিজেপি কার্যত নিজেদের কবর খুঁড়লেন। অসমে মাত্র ৫,৬ শতাংশ বড়ো মানুষের সংখ্যা অপরদিকে ২৯,৫শতাংশ বাংলাভাষী। বাংলা ভাষা রক্ষার জন্যে বরাকের ১১জন যুবক যুবতী প্রাণ আহুতি দেন।এই বিজেপি সরকার এই ভাষা শহীদদের আজ পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ তো দূরের কথা উপযুক্ত মর্য্যাদা দেয় নি।বিধান সভায় দাঁড়িয়ে মন্ত্রী পাটোয়ারী বললেন বরাকে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১জন। বরাক ডেমো ক্রেটিক ফ্রন্টের প্রধান প্রদীপ দত্ত রায় তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। মাত্র ৫,৬শতাংশের জন সংখ্যার বড়ো ভাষার শহীদ দের শহীদ স্বীকৃতি দিয়ে বিরাট অংকের ক্ষতি পূরণ দিল বিজেপি সরকার ।বরাকের ক্ষেত্রে "বিগ জিরো।"শিলচর স্টেশন কে ভাষা শহীদ স্টেশন করার দাবি কেন্দ্রীয় রেল বিভাগ দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার মানলো না।বরাকের এক উপজাতি গোষ্ঠী আপত্তি করেছে অজুহাত তুলে তা বাস্তবায়িত করা হল না। ব্রহ্ম পুত্র উপত্যকার বাংলা সাইনবোর্ড আলকাতরা মাখানো হচ্ছে সরকার চুপ থাকছে। অসম বিধানসভায় অগপ মন্ত্রী নেতারা লামডিং বাসী স্পিকার দেবেশ চক্রবর্ত্তী কে দরজা ভেঙে মারার চেষ্টা করেছিলেন সেদিন এই প্রতিবেদক উপস্থিত ছিলেন। দেবেশ বাবু পিছনের দরজা দিয়ে লামডিং পালিয়ে যান। বাংলা ভাষার অপমানের প্রাতিবাদে পরের দিন ধুতি পঞ্জাবি পড়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন।অসমের বিধানসভার ইতিহাসে তা ছিল এক কলঙ্কের ইতিহাস .। মুখ্যমন্ত্রী হিতেস্বর সাইকিয়া ,প্রফুল্ল কুমার মহন্ত ,সর্বানন্দ সনওয়াল হিমন্ত বিশ্ব শর্মা র সরকারের সময় এত বছর বিধানসভা কভার করেছি। বিধানসভায় বরাকের প্রতিনিধিদের ভূমিকা দেখলাম। পিছনের বেঞ্চে বসে মুখ নিচু করে থাকা সদস্য বেশি। বরাকের স্বার্থে দাবি উঠলে সবাই চুপ।গতকাল দুতিন জন কামালাখ্য র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কে খুশি করার জন্য ।এত সব নেগেটিভ খবরের অগপ মন্ত্রী শহিদুল আলম চৌধুরীর ব্যাক্তিগত চেষ্টায় বরাকের বাংলা অসমীয়া ভাষার মিলন সেতু ,সম্প্রীতির সেতু গড়তে অসম সাহিত্য সভার আয়োজন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার কে বরাক বাসী যে সম্মান দিয়েছেল তা আজও সোনালি ইতিহাস ।








কোন মন্তব্য নেই