Header Ads

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বাংলা ভাষায় পরিসেবাক না দেওয়ার প্রতিবাদ বাঙালি ছাত্র যুব সমাজ শিলিগুড়ির



  নয়া ঠাহর  শিলিগুড়ি 'বঙ্গভঙ্গের চক্রান্তের প্রতিবাদে ও সম্প্রতি চালু হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের বাংলা ভাষায় পরিষেবা না পাওয়া এবং সেখানে বাঙালী কর্মী নিয়োগ না করার  প্রতিবাদে ১০ ই জানুয়ারী ২০২৩ 'বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ' শিলিগুড়ি কোর্ট মোড়ের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৫ ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করে। উক্ত কর্মসূচীর সমর্থনে এগিয়ে আসে 'আমরা বাঙালী' দল । কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতি বিকাশ সিনহা বলেন- বাঙালীর পয়সায় বন্দে ভারত ট্রেন পশ্চিম বাঙলাতে চলবে অথচ বাংলা ভাষাতে পরিষেবা পাওয়া যাবেনা !! অবিলম্বে বাঙলাতে চলাচলগামী বন্দে ভারত সহ সব ট্রেনে বাংলা ভাষাতে পরিষেবা ও ১০০ ভাগ বাঙালী কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাঙালী রেজিমেন্ট পুনর্গঠন করতে হবে। 'বাঙালী যুব সমাজে'র কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন,২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার অলীক স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ায় পর থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তথা কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বাঙলাকে উত্তপ্ত করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে চলেছে। আমরা দেখেছি গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক সংখ্যা উত্তরবঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়ায় পর থেকেই দিল্লীর নির্দেশে সেই সাংসদ,বিধায়কদের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ কে বিভাজন করে আলাদা রাজ্য গঠন । কোথাও বা বিদেশী গোর্খাদের গোর্খাস্থানের দাবীকে সমর্থনের মতন বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দেওয়ানো হচ্ছে । এছাড়াও বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে অবদমন করে হিন্দী ভাষাকে চাপিয়ে বাঙালীদের নিজভূমে আগাছার মতন করে রাখার কৌশলও নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল ও রাজনৈতিক দলগুলি বাকসর্বস্ব প্রতিবাদী হলেও বাঙালী জনগোষ্ঠীর উপর চলা নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে তাদের আপত্তি !! 'বাঙালী' বলে পরিচয় দিতে তাদেল সংকোচ বোধ হয়। এছাড়াও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষণের ন্যায় হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ বাঙলাতেও ঔপনিবেশিক শোষণ কায়েম করে ফেলেছে। এর বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংঘটিত করতে হবে । শিলিগুড়ি শহরে বাঙালী আজ বঞ্চিত, সমস্ত অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে অবাঙালী পুঁজিপতিরা। অবিলম্বে প্রাউটের ব্লক ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে শিলিগুড়ির অর্থনীতির খোলনলচে বদলের মধ্যে দিয়েই শিলিগুড়ির বাঙালীরা অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখবে। এছাড়াও তিনি শিলিগুড়ির বিভিন্ন মোড়ের নাম চক ব্যবহার করার  বিরুদ্ধে বলেন - বাংলা অভিধানে চক বলে কোন শব্দ নেই, চক বলতে বাঙালীরা বোঝেন ব্ল্যাক বোর্ডে লেখার জন্য যে চক ব্যবহার করা হয়। হ্যাঁ হিন্দী ভাষায় চক বলে হয়ত কোন শব্দ আছে আমরা তা জানি না। সেই শব্দ কে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে । শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ রইল অবিলম্বে এইসব 'চক' শব্দ তুলে মোড় শব্দের ব্যবহার করতে হবে। 
    

    


        নিবেদক---
    

        তপোময় বিশ্বাস 
    কেন্দ্রীয় সচিব , বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ
    ২ নং বল্লভ স্ট্রিট, কলকাতা-০৪

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.