২০২২সালে বাংলাদেশে খুন ১৫৪ হিন্দু ঢাকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি: বাংলাদেশে হিন্দু নির্য্যতন বন্ধ হচ্ছে না। আশা করা গিয়েছিল মুজিব কন্যা হাসিনা সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবেন। ভারত বিরোধী মৌলবাদীদের কাছে মাথা নত করেছেন।নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। গতকাল ঢাকা প্রেস ক্লাবে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামানিক ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান ২০২২সালে বাংলাদেশে ১৫৪জন হিন্দু খুন হয়েছেন।হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে৮৪৯জনকে।জখম হয়েছেন৩৬০জন।নিখোঁজ ৬২জন।একবছরে হিন্দু পরিবার ও মন্দির লুটের ঘটনা ঘটেছে৩১৯টি।৮৯১বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর করা হয়েছে৫১৯ টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। ৮৯৯৯০ একর জমি বে দখল করা হয়েছে।৩৫,৮১৮টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৪৪৫টি পরিবার কে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। প্রামানিক জানান১২৮ টি হিন্দু মূর্তি ভাঙা হয়েছে,৪৮১টি মূর্তি চুরি করা হয়েছে। ৩৯জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।২৭ জন গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।১৪জন কে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।১৫২জন কে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়েছে। এর পর হাসিনা সরকার ভারতের কাছে উন্নয়নের ছবি তুলে ধরছেন নিজের দেশের নাগরিক যারা মুক্তি আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন সেই হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে নীরব থাকছেন। এ কি রকম উন্নয়ন? বাংলাদেশ সফররত সাংবাদিক বন্ধু বিরেশ্বর দাস জানান বাংলাদেশের বিখ্যাত রমনা কালিবাড়ির জমি দখল হয়ে গেছে। হিন্দুদের পবিত্র জমি যখন বেদখল হতে পারে তবে হিন্দু হত্যা সাধারণ ঘটনা তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হাসিনা সরকারের নেই। পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী রা প্রতিবাদ করেন না যে কাগজ না পড়লে পিছিয়ে পড়তে হয় সেই কাগজ এক লাইন ও লেখে না।গুয়াহাটিতে কলকাতার এক সাহসী লেখক মোহিত রায় বলে গেলেন বাংলাদেশে বই বিক্রি হবে না বলে লেখক রা হিন্দু নিধন নিয়ে মুখ খুলেন না প্রতিবাদ করেন না।আর মমতা সরকার পশ্চিমবঙ্গের ৩৫শতাংশ মুসলিম ভোটারের সমর্থনে দাঁড়িয়ে আছে।হিন্দু হত্যা প্রতিবাদ করে মুসলিমদের চটাতে চান না। বস্তুত বেঙ্গল, অসমে কোটি কোটি হিন্দুর কোনো অভিভাবক নেই। গোবিন্দ প্রামানিক রা যতই চিৎকার করুক না কেন কোনো সমাধান নেই।হিন্দুদের মার খেতেই হবে।
কোন মন্তব্য নেই