অভিভাবকহীন রাজ্যের জীব জগৎ
অসমে হাজারের বেশি বুনো হাতি আছে। কিন্তু হাতিদের চলাচলের করিডোর অধিকাংশ বেদখল হয়ে গেছে। ব্যাপক হারে বন ধংস , হাতিদের তীব্র খাদ্য সংকট জন পদে হানা দিচ্ছে হাতিরা ঘর বাড়ি ভেঙে তছ নচ করছে। মানুষ ও মারছে।গ্রাম অসমের জঙ্গল ঘেঁষা মানুষ আতঙ্কের মাঝে আছে।একটি হাতি প্রতিদিন প্রায় এক কইন্টাল সবুজ পাতা খায় অবাধে ঘোরা ফেয়ার প্রায় ১০কিলিমিটার এলাকা লাগে।যেদিকে যাবে সেদিকে নানা বাধা নতুন নতুন ঘরবাড়ি গজিয়ে উঠছে। প্রাচীর আর তারের বেড়া ।করিডর গুলো নেই । মানুষ হাতিদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে। ইলেকট্রিক তারে জড়িয়ে হাতিদের মারছে।বিষ প্রয়োগ করে মারছে।রাজ্যের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ আনোয়ার উদ্দিন চৌধরী আজ উদ্বেগের সংগে জানান হাতিদের ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা বাড়ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হইবে। হাতি মানুষের সংঘাত নিয়ে গবেষণা করা ডা,চৌধরী বলেন এই সংঘাত এক দু দিন বন্ধ হবে না।আইন করে মানুষকে বুঝিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভায় বন মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী বলেন অসমের ১৪২টি ঘরোয়া হাতি তামিলনাড়ুর মন্দিরে পাঠানো হয়েছিল আজও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় নি। অসম সরকার হাতিগুলি সম্পর্কে উদাসীন বলেই মনে হল। রাজ্যে বন্য জগৎ কে দেখ ভাল করা মানুষের বড় অভাব যেন অভিভাবকহীন ।গুয়াহাটি চিড়িয়াখানা সুরক্ষা মঞ্চ গুরুতর অভিযোগ করে বলেছে বিগত ৫বছরে ১হাজারের বেশি হরিণ নিরুদ্দেশ হয়েছে কোনো খবর নেই।তার উপযুক্ত তদন্ত হয় নি। গুজরাটের আম্বানির ব্যাক্তিগত চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। কালো চিতা পাঠাতে গিয়ে একটি মারা যায় বলে খবর আছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে জীব জন্তু গুজরাটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কে সমর্থন করেন। তাদের থেকেও জীব জন্তু আনতে হবে কারণ বরাক সহ রাজ্যে দুটি নতুন চিড়িয়াখানা নির্মাণ করা হচ্ছে । এত জন্তু পাবো কোথায়? গত ৩১ডিসেম্বরে সকালে কাজিরাঙ্গার জঙ্গল ঘুরে মন খারাপ হয়ে গেল। দু চারটি হরিণ আর দুটিনটি গন্ডার ছাড়া কিছুই দেখা গেল না।তবে জলাশয় গুলিতে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির কিচির মিচির বর্ণময় সংসার দেখে মনে ভালো হয়ে গেল। জীপ সাফা রির চালক রা বিজেপি সরকারের প্রসংশা করে বললেন গন্ডার নিধন বন্ধ হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রসংশা করেছেন ২০২২সালে একটিও গন্ডার মারা যায় নি বলে। কিন্তু গত ২০জানুয়ারি কাজিরাঙ্গার শীলখনন্দা বন শিবিরের কাছে একটি গন্ডারের খড়গ হীন দেহ পাওয়া গিয়েছিল তদানীন্তন উদ্যান অধিকর্তা পি শিব কুমার সংবাদ মাধ্যমে তথ্য দিতেছিলেন । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বছরের প্রথম দিন দাবি করেন একটি গন্ডার ২০২২ সালে মারা যায়নি। শিকারহীন অসম সেই আনন্দের বার্তা নিয়ে স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী গন্ডার সুরক্ষার জন্যে অসম বাসীকে অভিনন্দন জানান। কাজিরাঙা উদ্যানে হাজারের বেশি গন্ডার আছে। গন্ডারের অংক নিয়ে কারচুপির অভিযোগ আছে। অসমের বিশাল জীব জগৎ রক্ষার মানুষ নেই সরকারের অবহেলা অভিভাবকহীন বন্য প্রাণী জগৎ।
কোন মন্তব্য নেই