Header Ads

২৫ ডিসেম্বরের শেষে তিনসুকিয়ার উজান বেরোতে যাচ্ছে

 নয়া ঠাহর ,তিনসুকিয়া :
বছরভর পরিকল্পনা , পরিশ্রমের পরে ডিসেম্বরের শেষে ২৫ তারিখে, রবিবারে কাগজটি বেরোতে যাচ্ছে। আগে বেরুত শারদোৎসবের অঙ্গ হয়ে—পুজোর আগে। অতিমারি চাপে পিছিয়ে ডিসেম্বরের বেরোয় গত দুই বছর। এবারে আমরা ঠিক করলাম সেই বিশ্বজোড়া মারের দাগ রেখেই দেব। ডিসেম্বরেই বেরোবে কাগজটির অষ্টাদশ সংখ্যা।  তিনসুকিয়া শহরের দুই সুপরিচিত সঙ্গীত শিল্পী ও শিক্ষক নির্মলেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ণেন্দু দাস উন্মোচন করবেন। এবং এর পরে নিজেদের গানে গানে মাতাবেন আসর। 
       না, এবারে কোনও বক্তৃতা হবে না। হবে গান। কারণ এবারের কাগজের ভাবনাটাই এমন ‘গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে’। এবারে আমরা গানেই মেতেছি। মেতেছি, কারণ ভেবে দেখলাম—ছোটো কাগজকে কেবলই কিছু কবিতা আর কথাশিল্পের গণ্ডিতে বেঁধে রাখাটা খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বাকি শিল্প ও সমাজ নিয়ে ভাবাটাও বুদ্ধিমানেদের দায়। আমাদের সবচাইতে বড় যে কবি—তিনি কী বলেছিলেন স্মরণ করুন—আর কিছুতে না, লোকে তাঁকে মনে রাখবে গানে। তিনি যে বইটির জন্যে নোবেল পেলেন বলে আমাদের গৌরবের শেষ নেই—সেই বইখানারও মূল কবিতার অনেকগুলোই মূলে ছিল গানই। বব ডিলানও তাঁর গীতিকবিতাগুলোর জন্যেই বছর কয় আগে নোবেল পেলেন। তাহলে আমরা গানকে কেন সাহিত্য তথা বৌদ্ধিক জগতের বাইরে রেখে দেব?  আমাদের পূর্বোত্তরে এই ব্যামো রয়েছে। নইলে বাংলা ভাষাতে প্রচুর ছোটো কাগজ এই নিয়ে ভেবেছে, কাজ করেছে। এবারেই তো লতা মুঙ্গেশকরের মৃত্যুর পরে পরেই ‘কৃত্তিবাস’ কাগজ তাঁকে নিয়ে আস্ত একখানা সংখ্যা করে ফেলেছিল।
 কিন্তু কাজটি আমরা ভালো করতে পারব না ভেবে সাহায্যের আবদার নিয়ে হাজির হয়েছিলাম দুই সুপরিচিত সঙ্গীত শিল্পী তথা ভাবুক শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার (Subha Prasad Nandi Majumdar)ও কল্লোল দাশগুপ্তের (Kallol Dasgupta) কাছে। তাঁরা সানন্দে আমাদের সঙ্গে জুড়লেন। ভাবনাকে রূপ দিলেন। লেখক নির্বাচন করে ডাক পাঠালেন। এবং বছর ভরে লেগে রইলেন। ডাক পৌঁছেছিল বহুর কাছে, স্বাভাবিকভাবেই সবার থেকে সমান সাড়া মেলেনি। কিন্তু যেটুকু পৌঁছুলো সেটুকুই বা কম কীসে?
 লিখলেন, আমাদের সম্পাদনামণ্ডলীর সদস্য-সদস্যা শুভনুধ্যায়ীরা ছাড়াও এই দু’জনে তো বটেই... আর যারা লিখলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম---শুভেন্দু মাইতি,সম্বিত বসু,স্বপন সোম,শিবাংশু দে,চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় (Chandra Mukhopadhyay),অমিতাভ দেব চৌধুরী,শৌনক দত্ত (Sounak Dutta),জেনেভি খোঙজি প্রমুখ। জেনেভি সুপরিচিত খাসি শিল্পী, বাংলাতেও গান করেন। রবীন্দ্র সঙ্গীতও। তাঁর ইংরাজি লেখাটি অনুবাদ করে দিয়েছেন ধনঞ্জয় চক্রবর্তী (Dhananjoy Chakraborty)। না, সবার নাম আমরা উল্লেখ করলাম না, আরও রয়েছেন।
 রয়েছেন তিন গীতিকবিও একগুচ্ছ গানের কথা নিয়ে। কলকাতার সুপ্রতীম দত্ত (Supratim Dutta)—আলফাজ নামে যিনি গান লিখে থাকেন আর শিলচরের হৃষিকেশ চক্রবর্তী , বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য (Biswaraj Bhattacharjee)।
 না, আমরা কাউকে গান নিয়েই কবিতা লিখতে বলিনি। তবু অনেকেই কবিতাতে গানকেই ধরেছেন। রামচন্দ্র পাল –উজানের নিয়মিত লেখক। কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যকে স্মরণ করেছেন সুখপাঠ্য কবিতাতে। আর যারা লিখলে, তাঁদের অন্যতম...গৌতম চৌধুরী,সন্তোষ রায় ,তপন রায় ,সপ্তর্ষি বিশ্বাস,স্বর্ণালি বিশ্বাস ভট্টাচার্য,রবীন ভট্টাচার্য,সুজিত দাস (Sujit Das),খোকন সাহা, চন্দ্রিমা দত্ত(Chandrima Dutta),সঞ্জয় ভট্টাচার্য , মৃন্ময় রায় (Mrinmoy Roy),স্নিগ্ধা নাথ (Snigdha Nath),ব্রত চক্রবর্তী, এ এফ ইকবাল (A.F. Ekbal),রাজীব ভট্টচার্য ,সুতপা চক্রবর্তী (Sutapa Chakraborty),মিফতাহ উদ্দিন (Miftah Uddin Apu) প্রমুখ। 
ঋতুপর্ণ (-আ) নেওগের অসমিয়া কবিতা অনুবাদ করলেন ময়ুরী শর্মা বরুয়া (Mayuri Sharma Baruah)। কবি এবং অনুবাদক দুজনেরই মাতৃভাষা কিন্তু অসমিয়া। অনুবাদ করেছেন পার্থসারথি দত্তও (Parthasarathi Dutta)। 
 দুটি অসমিয়া গল্প অনুবাদ করেছেন দীপঙ্কর কর ও অভিজিৎ লাহিড়ি(Abhijit Lahiri)। প্রথম জন করলেন কুল শইকীয়ার গল্প এবং দ্বিতীয় জন সৌরভ কুমার চলিহার ছোটো গল্প। চারটি ভিন্ন স্বাদের মৌলিক গল্প লিখেছেন  কল্পনা রায় (Kalpana Roy),কাশিনাথ চক্রবর্তী (Kashinath Chakraborty),শর্মিলা দত্ত  এবং আমাদের নিজেদের নীলদীপ চক্রবর্তী(Neeldeep Chakraborty)।
 আর এই যে প্রচ্ছদটি দেখছেন, প্রতিবারের করেন আমাদের সদস্য রেখাশিল্পী ত্রিদিব দত্ত (Tridib Dutta.)। এবারেও করেছেন। 
 জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শিলচরের নবম উত্তর পূর্বাঞ্চল বাংলা ছোটোকাগজ সম্মেলনে কাগজটি পৌঁছুবে। আর পৌঁছুবে শীতের নানান বইমেলাতেও।  Gobinda Kangsa Banik-এর বাতায়নে অবশ্যই পৌঁছুবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.