বিজেপি কে সুবিধা করে দিতে কুরুচিকর কথা বলছেন আজমল
নয়া ঠাহর ,শিলচর। :বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন আজমল - এইউডিএফকে আর একটিও ভোট না দেবার আহ্বান বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর।
সম্প্রতি একটি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে হিন্দুদের বিবাহ রীতি নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন এআইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। এ নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে এই ধরনের নিকৃষ্ট মন্তব্য যে রাজনৈতিক ব্যাক্তি করতে পারেন তিনি জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার অযোগ্য। প্রদীপ বাবু বলেন যে তিনি নিশ্চিত যে বিজেপি নেতাদের নির্দেশ ও সমঝোতার ভিত্তিতেই তিনি অহেতুক এই মন্তব্য করে সাম্প্রদায়িক বিভাজন উস্কে দিতে চাইছেন। এই মেরুকরণ হলে উভয় পক্ষেরই লাভ। হিন্দুদের ভোট বিজেপির দিকে এবং মুসলিম ভোট তার পক্ষে সংগঠিত হবে। বিডিএফ আহ্বায়ক বলেন এসব খেলা এখন পুরোনো হয়ে পড়েছে। জনগন এখন আর এতো বোকা নন ,এইসব ষড়যন্ত্র তারা এখন অনায়াসে বুঝতে পারেন। তিনি বলেন হয়তো চলমান গুজরাট নির্বাচন বা রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব ঘুটি খেলা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে এইউডিএফ যে বিজেপির বি টিম হিসেবে কাজ করছে এই ব্যাপারে জনমনে আর কোন সন্দেহ নেই। তাই এইউডিএফকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপি দলের জেতার রাস্তা প্রশস্ত করা। প্রদীপবাবু বলেন এটা মনে হয় রাখতে হবে সবাইকে। তাই নিজেদের স্বার্থে এআইউডিএফকে আর একটি ভোটও না দেবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিডিএফ এর আরেক আহ্বায়ক আইনুল হক মজুমদার বলেন যে একজন সাংসদের মুখে এই ধরনের মন্তব্য একদমই শোভা পায়না এবং এই মন্তব্য করে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন বদরুদ্দিন আজমল। তিনি বলেন সাম্প্রতিক বন্যা পুরকর, বেকারদের চাকরি, সুপারি ব্যাবসায়ীদের সঙ্কট ইত্যাদি নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তার থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে বিজেপি এবং এআইইউডিএফ যে মিলিতভাবে এই পরিকল্পনা করেছে তা এই মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে।তিনি বলেন এআইইউডিএফ দল জনগনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তাই বদরুদ্দিন আজমলকে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে আতর ব্যাবসায় মনোযোগী হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য - এতে তাঁর ও রাজ্যের জনগন উভয় পক্ষেরই উপকার হবে।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।
কোন মন্তব্য নেই