দক্ষিণ তুরা কেন্দ্রে তীব্র লড়াইয়ের মুখে পড়বেন মুখ্য মন্ত্রী কনরাড
দক্ষিণ তুরা কেন্দ্রে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড ।
ননী গোপাল ঘোষ -- 20 নভেম্বর -- শিলং
মেঘালয়ার গারোপাহাড়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর তুরা। পাহাড়ি এই শহরে বংশপরম্পরায় রয়েছেন প্রচুর বাঙালি । তুরা কেন্দ্রের নির্বাচনে বরাবরই বাঙালি ভোটাররা গুরুত্ব পেয়ে এসেছেন । গারোপাহাড়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ও প্রাক্তন লোকসভা অধ্যক্ষ পূর্ণ সাংমার গড় ছিল তুরা। পূর্ণ সাংমার পুত্র কনরাড সাংমা বর্তমানে মেঘালয়ার মুখ্যমন্ত্রী ।
দক্ষিণ তুরা কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারেন কনরাড । এই কেন্দ্রের এনপিপি প্রার্থী কনরাডকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারেন বিজেপি প্রার্থী স্বশাসিত জেলা পরিষদ সদস্য বার্নার্ড এন মারাক।
বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে বার্নার্ড প্রায় মাস তিনেকের ওপর জেলবন্দি ছিলেন । সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি । বার্নার্ড মুক্তি পাওয়ায় খুশির হাওয়া গারোপাহাড়ের বিজেপি শিবিরে । বিজেপি গারোপাহাড়ের কয়েকটি আসন ছাড়া অন্যসব আসনে ততটা শক্তিশালী নয় । তবে বার্নার্ডের মুক্তি বিজেপি শিবিরে অনেকটাই চনমনে ভাব ফিরিয়ে আনতে পারে বলে বিজেপি সূত্রের খবর ।
মেঘালয়া বিজেপির সভাপতি আরনেস্ট মাউরি অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, বার্নার্ডের জনপ্রিয়তা সম্বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড অবগত আছেন এবং তিনি ভোটে মানুষের আস্থা হারানোর ভয় করছেন । রাজ্যের মানুষ এনপিপি সরকারকে ভোটে উৎখাৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ।
দক্ষিণ তুরা কেন্দ্রে লড়াইয়ে শুধু কনরাড আর বার্নার্ডই নন, লড়াইয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ নেতা রিচার্ড মারাকও। রিচার্ড ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রে নিজের পদক্ষেপ অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলেছেন । তৃণমূলের চিফ হুইপ বিধায়ক জর্জ বি লিংডো বলেন, এই কেন্দ্রে তাঁর দলের নীতির প্রচার করবেন তাঁরা ।
এনপিপি সভাপতি ও রাজ্যসভা সাংসদ ডাঃ ডব্লিউ আর খারলুখি অবশ্য সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন , বার্নার্ডের মুক্তি নির্বাচনে কোনও প্রভাবই ফেলবে না। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ায় মাত্র দুটি আসন জিতেছিল বিজেপি, দুটোই ছিল শিলং শহরের আসন। গারোপাহাড়ে একটি আসনও পায়নি বিজেপি ।
দক্ষিণ তুরা কেন্দ্র ছাড়াও গারোপাহাড়ের অন্য একটি আসন থেকেও লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলে রাজনৈতিক মহলের খবর ।
কোন মন্তব্য নেই