Header Ads

চীনা নাগরিক দের ভারত ছাড়ার নির্দেশ

নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার জন্য চীনা নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ 


মানস বন্দ্যোপাধ্যায় 
বেশ কয়েক বছর ধরে চীন যেভাবে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করে ভারতীয় এলাকা জবরদখল করছে,ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, তার ফলে সীমান্তে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠছে। লাদাখ, ডোকোলাম,অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, সিকিমে চীন অন্তর্ঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর মধ্যেই ভারতে বিভিন্ন প্রান্তে চীনের শী জিনপিং সরকার গুপ্তচর বৃত্তি প্রসারের কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। চীনের সহচর বামপন্থীরা চীনের আপকান্ডের বড় সমর্থক। চীনের হয়ে গোপন তথ্য হাসিলের জন্য সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে দালাল সৃষ্টি করছে চীন। 
কিছুদিন আগে দিল্লির এক নামী সাংবাদিককে চীনের হতে গুপ্তচর বৃত্তি করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রচুর গোপন তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি অনুমোদিত এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিক হিসাবে তার গতিবিধি মন্ত্রী মণ্ডলীর মধ্যেই ছিল অবারিত। সেই সাংবাদিক এখন জেলে রয়েছেন চীনের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের জেরে এখন গোয়েন্দা বিভাগ অনুসন্ধান চালিয়ে ভারতে বসবাসকারী  ৮১ জন চীনা ব্যক্তিকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নোটিশ পাঠিয়েছে।
বর্তমানে ভারতে বসবাসকারী ৮১ জন চীনা নাগরিককে দেশে ফিরে যাওয়ার নোটিশ ধরিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে এনারা কোনো না কোনোরকম ভাবে বেআইনি কাজের সাথে যুক্ত অথবা ভিসার মেয়াদ লংঘন হয়ে যাওয়ার পরেও তারা অবৈধভাবে এদেশে বসবাস করছিলেন।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লোকসভায় একটি হিসাবে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১১৭ জন চীনা নাগরিককে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ হিসেবে সরকার জানিয়েছে সেই সমস্ত চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে নানা রকম অবৈধ কাজ করার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার এই হিসাবটি লোকসভায় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, উল্লেখিত এই চীনা নাগরিকদের বাইরে আরো অতিরিক্ত ৭২৬ জন চীনাকে আইন ভাঙার অভিযোগ বিরূপ তালিকা বা অ্যাডভার্স লিস্টভুক্ত করা হয়েছে।

একটি জবাবি ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ভিসা নিয়ে যে সকল মানুষজন বিদেশ থেকে ভারতে আসে তাদের ওপর নিত্য নজরদারি করে কেন্দ্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও বহু মানুষ ভারতে থেকে গেছেন। অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সাথে সাথেই চীনা নাগরিকদেরও সতর্ক করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যদি কোনও আপতকালীন অবস্থা বা চিকিৎসার কারণে জন্য তাদের দেশে ফিরে যেতে বিলম্ব হয় সেক্ষেত্রে ব্যাপারটি বিবেচনা করে দেখা হয়।
আজ গৃহ মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে দিল্লি,পূর্বত্তরের অরুণাচল প্রদেশ, অসম,পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর বঙ্গে এমন বহু চীনা গুপ্তচর সক্রিয় রয়েছে। তাদের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.