লামডিং রেল শহরে বিদ্যালয় ছাত্রীকে গণ ধর্ষণ করে হত্যা,থানা ঘেরাও বিক্ষোভ,প্রতিবাদ
নয়া ঠাহর,গুয়াহাটি : মধ্য অসমের লামডিং রেল শহরে আবার গণ ধর্ষণ ও নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা ঘটল । শহর জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল লামডিং রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সন্ধ্যার সময় টিউশনি পড়তে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। গত রাতে ৭,৩০ নাগাদ কৃষ্ণ বস্তির কাছে শাল বনে এই ঘটনা সংগঠিত হয় বলে খবর এসেছে।জেলার পুলিশ সুপার বরুণ পুরকায়স্থ ," নয়া ঠাহর, কে জানান এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে এখনো প্রমাণিত হয় নি।ডাক্তারের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে। লামডিং এ ব্যাপক হারে মদের বেআইনি কারবার শুনে পুলিশ সুপার বলেন মদ কারবারি দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এই প্রতিবেদক পুলিশ সুপার কে জানান কংগ্রেস রাজত্বে একবার বেসরকারি সার্ভে করে জানা গিয়েছিল সাধারণ চা পানের দোকান থেকে ছোট ছোট দোকান ঝুপরি মিলিয়ে প্রায় ১৩০০ দোকানে দেশি তৈরি মদ ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশের ভেজাল মদ বিক্রি হয়।
লামডিঙের আর্থ সামাজিক অবস্থা খুব খারাপ হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার। সন্ধ্যে হলেই সব মদের আড্ডাতে বসে পড়ে। প্রতি মদের দোকান থেকে লামডিং পুলিশ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে তোলে। তার ভাগ আবগারি অফিস কে দিতে হয়। গতকাল সন্ধ্যায় শালবনে মদের আসর বসেছিল, সূত্রের দাবি পাড়ার মেয়ে সবাই চেনে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হল। মদের শিকার হলে গরিব ঘরের মেয়েটি । কংগ্রেস রাজত্বের থেকেও বিজেপি আমলে মদের করবার বহু গুন বেড়ে গেছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রাক্তন আফগারি মন্ত্রী অজিত সিং লামডিঙের দুর্নীতি পরায়ণ ২জন অফিসার কে বদলি করে দিয়েছিলেন। বর্তমান মন্ত্রীর সেই সাহসটুকু আছে বলে সন্দেহ আছে।মদ এত বাড়ছে কেন? গরিব ঘরের মেয়েটি মদের বলি হল। লামডিঙে অপরাধ জনিত ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারন মদ। স্রেফ মদ । সঙ্গে মাদক আছেই। মদ ,মাদক আর মোবাইল এর সঙ্গে বাঙালি অঞ্চল বলে দিসপুরে র চরম অবহেলা তো আছেই।, মোবাইল ছাত্র, যুব সমাজে যৌনতা ছড়াচ্ছে ,মদ , মাদক অপরাধ ,তার যোগফল ধর্ষণ হত্যার মত ঘটনা বেড়েই চলেছে সর্বত্র। বেকার যুব সমাজের হতাশা যন্ত্রনা কেউ বুঝতে চায় না। গরিব ঘরের বলেই বিচার হবে না,ক্ষতি পূরণ পাবে না। অপরাধী ও ধরা পড়বে না। শাস্তি ও হবে না।
কোন মন্তব্য নেই