আগামী পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল, পেট্রোল,গ্যাসের সিলিন্ডার বাতিল করা হবে।
পাঁচ বছরে পেট্রোল ডিজেল, গ্যাসের সিলিন্ডার বাতিল হবে দেশে: গড়করি
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
দীর্ঘ বছর ধরে করোনা অতিমারি ভারত সহ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ভারতে এর প্রভাব শুধু দেশের অর্থনীতিই নয়,রাজনীতি, সমাজ ব্যবস্থায়ও রীতিমত দাগ ফেলে দিয়েছে। একদিকে পেট্রোল, ডিজেল,গ্যাসের দাম যেমন বেড়েছে, অপরদিকে আঁকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বিত্তের মানুষের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে। করোনার মধ্যে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধ "কাটার ওপর নুনের ছিটে" র মতো পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক কালে গোটা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতির কারণে জ্বালানি তেলের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। সেই প্রভাব এসে পৌঁছেছে আমাদের দেশেও। ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। মাঝের সময়ে জ্বালানির দাম কিছুটা কমানো হলেও তাতে স্বস্তি মেলেনি কারোর। ফলে পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে যখন সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি দাবি করেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত থেকে বিদায় নেবে পেট্রোল, ডিজেল গ্যাসের সিলিন্ডার। মহারাষ্ট্রে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিও। এই অনুষ্ঠানে বিজেপি মন্ত্রীকে ‘ডাক্তার অফ সায়েন্স’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তবে এসব কিছু ছাপিয়ে গতকালের অনুষ্ঠানে এমন এক দাবি করে বসেন তিনি, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।
নীতিন গড়করি বলেন, “বর্তমানে বিদর্ভ এলাকায় ইথানল প্রস্তুত করা হয়ে চলেছে, যা আমাদের দেশে বহু যানবাহনে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সবুজ হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা হচ্ছে আমাদের দেশে, যার দাম প্রতি কেজিতে মাত্র ৭০ টাকা এবং পরবর্তীকালে এগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুত করা সম্ভব হলে পেট্রোলকে নিষিদ্ধ করা হবে।” এছাড়াও এদিন তিনি দেশের কৃষকদের শক্তি সরবরাহকারী হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা যোগান।
তিনি আরো বলেন, “সাম্প্রতিককালে যেভাবে ইথানল প্রস্তুত হয়ে চলেছে, তাতে আমাদের দেশের মোট ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচেছে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে সবুজ হাইড্রোজেন ও ইথানল সহ অন্যান্য একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিস আমার দেশে উৎপন্ন করার মাধ্যমে আমরা সেগুলি গাড়িতে ব্যবহার করতে পারব। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পেট্রোল নিষিদ্ধ করা হবে।” এক্ষেত্রে সরকারী সূত্র দ্বারা এই সম্পর্কে কোন ঘোষণা করা না হলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন বক্তব্য গোটা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এর আগে বলা হয়েছিল ,কেন্দ্র সরকার খুব শীঘ্র সারা দেশে সোলার স্টোভ ব্যবস্থা চালু করবে। এর উৎপাদন যথেষ্ট মাত্রায় শুরু হয়ে গেছে। সোলার স্টোভ ব্যবহার করলে রান্নার গ্যাসের কোন প্রয়োজন থাকবে না। রান্না ঘরে থাকবে স্টোভ।সোলার এনার্জি রিসিভার যন্ত্রটি থাকবে ঘরের বাইরে।এরফলে আর লাগবেনা গ্যাস সিলিন্ডার।
চিরদিনের মতো বিদায় নেবে সিলিন্ডার। ফলে গৃহস্থের অস্বস্তি আর থাকবেনা। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান অয়েল এই কাজে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই