বাংলাদেশ থেকে দেহ আনতে পারলেন না পরিজন রা
বাংলাদেশ থেকে দেহ আনতে পারলেন না পরিজনরা
নয়া ঠাহর প্রতিনিধি, আগরতলা: জীবনের পড়ন্ত বেলায় জন্মভূমিতে গিয়ে আর ফিরতে পারলেন না দক্ষিণ ত্রিপুরার জোলাইবাড়ির প্রবীণ নাগরিক প্রফুল্ল মজুমদার। ৮৫ বছর বয়সী প্রফুল্ল মজুমদার স্ত্রীকে নিয়ে মঙ্গলবার বেড়াতে যান বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার দেওয়ানপুর গ্রামের পুরোনো বাড়িতে। শুক্রবার চট্টগ্রামের আত্মীয় বাড়ি থেকে দুই আত্মীয়ের সঙ্গে ডিঙামানিকে রামঠাকুরের জন্মভূমিতে যাওয়ার পথে শনিবার ভোররাতে শরিয়তপুরে পথ
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রফুল্ল বাবু। দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় ডান পা, আঘাত পান বুকেও। মাথা ফেটে যায় উনার স্ত্রীরও। সঙ্গে থাকা আত্মীয়রাও অল্পবিস্তর আহত হন।গুরুতর আহত প্রফুল্লবাবুকে প্রথমে ঢাকার একটি হাসপাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি হওয়ায় উনাকে নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা দেন আত্মীয়রা। পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তিনি বেঁচে আছেন কিনা জানতে ফেণি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উনাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। জোলাইবাড়ির বাড়িতে উনার মৃত্যুর খবর এলে উনার দেহ আনতে সচেষ্ট হন ছেলেমেয়ে ও আত্মীয় স্বজনরা। রবিবার দেহ আনতে না পারায় সোমবার মেজছেলে ছুটে যান বাংলাদেশে৷পরিবারের লোকজনেরা জানান, ফেনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেওয়া হাতে লেখা শংসাপত্র গ্রাহ্য করেনি চট্টগ্রামের ভারতীয় দূতাবাস। বাংলাদেশের হাসপাতালের অসহযোগিতার কারনে মঙ্গলবার জন্মভিটেতেই প্রফুল্লবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বাধ্য হন পরিজনরা। বাংলাদেশে প্রফুল্লবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ায় ছেলেমেয়ে, প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনরা শেষ দেখা দেখতে পারলেন না তাকে। প্রসঙ্গত,১৯৫১ সালে পরিবারের সঙ্গে জোলাইবাড়িতে আসেন তিনি৷ বাংলাদেশের রামগড়ে থাকা বাবার সাইকেল দোকান গুটিয়ে এসে জোলাইবাড়িতে প্রথম সাইকেল দোকান খুলেন তিনি। বহু বছর ধরে জোলাইবাড়িতে সাইকেল দোকান চালানোয় প্রফুল্ল মিখার নামেই পরিচিত হয়ে উঠেন তিনি। মেজ ছেলেকে দোকানের দায়িত্ব সঁপে দিলেও স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারতেন তিনি। শনিবার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তাদের হাসপাতাল চৌমুহনীর বাড়িতে প্রতিদিন প্রফুল্ল বাবুকে শেষবার দেখার জন্য এসেছেন বহু মানুষ। মরদেহ আসবে না শুনে আশাহত হয়েছেন প্রতিবেশী সমেত আত্মীয় পরিজনেরাও।
কোন মন্তব্য নেই