Header Ads

বিরোধীদের বড় ঝটকা

বিরোধীদের বড় ঝটকা
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ইডির পদক্ষেপর সব বৈধ!  রায় সুপ্রিম কোর্টের

মানস বন্দ্যোপাধ্যায় 
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি,আর্থিক দুর্নীতি,ব্যাপক ক্ষমতার অপ ব্যবহার নিয়ে প্রবর্তন নির্দেশালয় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল।কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বিরোধীদের একাধিক প্রতিবাদ সত্ত্বেও দেশের বুকে চলবে ইডির কার্যকলাপ ও ব্যবস্থা। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের  (পি এম এল এ) অধীনে গ্রেফতারি থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন সুপ্রিম কোর্টের  এই নির্দেশ দেশের রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। 
বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল দেশে বিরোধী দলগুলিকে কোণঠাসা করার জন্য বিজেপি সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার প্রয়াস চলছে। 

সম্প্রতি পিএমএলএ আইনের অধীনে ইডির ক্ষমতা প্রসঙ্গে একাধিক মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে এদিন অধিকাংশ মামলাই খারিজ হয়ে গিয়েছে উচ্চ আদালতে।

বিরোধীদের অভিযোগ গ্রেফতারের কারণ না দেখিয়ে কাউকে হেফাজতে নেওয়া নিয়মবহির্ভূত ও অসাংবিধানিক। এই অভিযোগটি ও আদালত খারিজ করে দিয়েছেন আজ। 
উল্লেখ্য, এদিন সকলের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, “গ্রেফতারি থেকে শুরু করে কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কিংবা অন্যান্য যেকোনো ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে ইডির। এক্ষেত্রে গ্রেফতারের কারণ জানানো বাধ্যতামূলক নয়।”

এই রায় প্রকাশ হওয়ার পর এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানান, “সুপ্রিমকোর্ট আজ তাদের রায় দিয়েছে। পিএমএলএ আইনের অধীনে ইডির সকল ক্ষমতাকে বহাল রেখেছে উচ্চ আদালত এবং আমাদের সকলের উচিত আদালতের এই নির্দেশকে সম্মান জানানো।” এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে ইডির বড় জয় হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুপ্রীম কোর্টের এই রায় বিরোধীদের ধরাশায়ী করে দিয়েছে। ফলে যেখানে যেই সরকার থাকুক না কেন চরম দুর্নীতির ক্ষেত্রে সিবিআই ও ইডি যে নির্ভয়ে,বিনা দ্বিধায় তাদের অভিযান চালিয়ে যেতে পারবে তাতে আর কোন সন্দেহ রইলো না।
বিজেপির সর্ব ভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র আজ দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকের পদকে যেভাবে বিক্রি করা হয়েছে মুড়ি মুড়কির মতো,তাতে ইডি অভিযান চালিয়ে সাগরপ্রমান তথ্য উদ্ধার করেছে। আরো অভিযান চলছে। রাজ্যের হাজার হাজার  শিক্ষিত , যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বিশাল আকারের টাকা নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের শিক্ষকের চাকুরি বিক্রি করা হয়েছে মন্ত্রী ও তার বান্ধবীর দোকান থেকে। এই তথ্য বের করতে সক্ষম হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। তাতে রাজ্য সরকারের এতো আক্রোশ কেন? ভয় অনেকের পিছু ধরছে। এই গ্রেফতারির রসি অনেক লম্বা হবার ভয়েই অনেকে গুটিয়ে যাচ্ছেন। শীর্ষ আদালতের রায় নিঃসন্দেহে অভিনন্দন যোগ্য। 
আজ বাম দলগুলির পক্ষ থেকেও শিক্ষা বিক্রির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তীব্র আক্রমণ করেছেন সি পি এম নেতা মহাম্মদ সেলিম। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার যোগ্য যুবকের বঞ্চনার নিন্দা করে বলেছেন, বঞ্চিতদের পাশে থাকবে তার দল। তারা ব্যাপক আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.