Header Ads

বিমান বন্দর নিয়ে ভুল তথ্য সাংসদ রাজদীপ রায়ের পদত্যাগ দাবি



 নয়া ঠাহর, শিলচর :এয়ারপোর্ট নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর লিখিত স্পষ্টীকরণ - জনগনকে ভাওতা দেবার জন্য সাংসদ রাজদীপ রায়ের পদত্যাগ দাবি করল বিডিএফ।

ডলুকান্ডে রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেবের এক চিঠির প্রত্যুত্তরে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে শিলচরের গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে সরকারি ভাবে এখন অব্দি কোনো প্রস্তাব জমা পড়েনি।‌এর আগে এক আর টি আই এর জবাবেও ওনার মন্ত্রক ও এয়ারপোর্ট অথরিটি একই বক্তব্য জানিয়েছিল । এই ব্যাপারে মিথ্যাচার ও ভাওতাবাজির জন্য শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়কে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি তুলল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির যে মুখপাত্ররা বলেছিলেন যে আর টি আই এর জবাব ভুল এবং রাজ্য সরকারের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তাঁরা এবার কি বলবেন ? তিনি বলেন বিডিএফ প্রথম থেকেই বলে আসছে যে এই ব্যাপারে এখন অব্দি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো অনুমোদন নেই। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর চিঠিতে সেটাই প্রমানিত হল। তিনি বলেন যে প্রকল্প আদৌ অনুমোদিত হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই, তা নিয়ে প্রশাসনের এতো দৌড়ঝাঁপ রীতিমত রহস্যজনক এবং নিশ্চিত যে এইসব শিলচরের সাংসদের নির্দেশেই হয়েছে। তিনি বলেন এটি দুর্ভাগ্যজনক এবং জনগনকে এভাবে ভাওতা দেওয়া ও মিথ্যচারের জন্য আমরা শিলচরের সাংসদকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন যে একজন ডিসি বা এসপি কোনো পদক্ষেপ নেবার আগে সমগ্র প্রক্রিয়াটির আইনি সহ বিভিন্ন দিক ক্ষতিয়ে দেখবেন এটাই কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্র নির্দেশিত বিভিন্ন নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে যেভাবে ২৫০০ শ্রমিকের রুটি রুজি কেড়ে নেওয়া হল,উপড়ে ফেলা হল ৩০ লক্ষ চা গাছ,এখন এর দায়ভার কে নেবে ? এরজন্য তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। তিনি আরো বলেন যে এই উচ্ছেদ নিয়ে অসন্তোষ আসামের বিভিন্ন প্রান্ত সহ সারা ভারতে ছড়িয়েছে। কিন্তু আসামের যে মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সমস্ত ইস্যুতে কথা বলেন তিনি এই ব্যাপারে এখন অব্দি আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব। তিনি বলেন আজকের এই স্পষ্টীকরণ এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে আগ্রহী।

বিডিএফ যুবফ্রন্টের আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে সমগ্র ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দাবি করছি যে অবিলম্বে অন্য কোনো বিকল্প পরিত্যক্ত জায়গা নির্বাচন করে সরকারকে গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দরের প্রস্তাব অসামরিক পরিবহন মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হবে। একই সাথে ডলুর এই বিতর্কিত জমি বাগান মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং এই জমিতে নতুন করে চারাগাছ রোপণ করার ব্যাবস্থা করতে হবে। এবং যতদিন অব্দি এই জমিতে পুনরায় অর্থকরী উৎপাদন শুরু না হচ্ছে ততদিন এখানকার সব স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের জীবিকার সংস্থান সুনিশ্চিত করতে হবে। অন্যথা এই ইস্যুতে আন্দোলন জারি থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.