সংগীত শিল্পী সংকর্ষন ঘোষের স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্রিপুরার গানটি কে কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের স্বীকৃতি

নয়া ঠাহর  প্রতিনিধি, আগরতলা,৩ জুন : রাজ্যের তরুন গীতিকার, সংগীত শিল্পী সংকর্ষণ ঘোষের লেখা -  স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্রিপুরা - গানটিকে  রাজ্যগীতির  স্বীকৃতি দিল  ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক।এই বছর  স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষকে অমৃত মহোৎসব হিসাবে পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকার।স্বাধীনতার  অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে দেশের ২৮ টি রাজ্যের রাজ্যগীত নির্বাচন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। ত্রিপুরার রাজ্যগীতের মর্যাদা পায় উদয়পুরের তরুন শিল্পী সংকর্ষণ ঘোষের লেখা এই গানটি।এই ত্রিপুরার মাটি গেয়েছিল মুক্তির জয়গান/

ভুলে যাওয়া নামে স্মৃতি আলোকিত /স্বাধীনতা সংগ্রাম,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম।।বীরেন দত্ত, দেবপ্রসাদ আর

শচীন সিংহ নাম/

অনুশীলন সমিতির দামালেরা

কারাবাস পরিনাম/

প্রভাত, সুরেশ, সুখময়, কানু

আরো কতো কতো নাম/

এই ত্রিপুরার মাটি গেয়েছিল

মুক্তির জয়গান।

স্বাধীনতা সংগ্রাম।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম।।

বিপ্লবে বিশ্বাস করেছিল

যোগেশ আর সুকুমার/

হরিগংগা বসাক দেখেছিল

স্বপ্ন স্বাধীনতার/

অমূল্য হল জেলবন্দী

নিকুঞ্জ পলাতক/

বহু অনশন অনাহারে ওরা

লড়েছিল শেষতক।।

কতো কারাগার, বন্দীশালা

স্বাক্ষী স্বাধীনতার/

কতো কতো বিপ্লবে শুদ্ধ

এই মাটি ত্রিপুরার/

স্মৃতি উজ্জ্বল ত্রিপুরার কতো

কতো ভুলে যাওয়া নাম/

এই ত্রিপুরার মাটি থেকে হল

স্বাধীনতা সংগ্রাম।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম।।

সংকর্ষণ ঘোষের 

 ৯৯ শব্দের এই  গানটি ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক ইতিমধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে আপলোভ করেছে। ত্রিপুরা রাজ্যগীত লিখে গুগলে  সার্চ করলেও পাওয়া যাচ্ছে গানটির লিরিক। নিজের লেখা গান রাজ্যগীত' র স্বীকৃতি পাওয়ায় ভীষণ খুশি সংকর্ষণ। দাদা সুকান্ত ঘোষের কাছে গানের হাতেখড়ি সংকর্ষণ পড়াশোনায়ও অত্যন্ত  মেধাবী ছিলেন। ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর সংকর্ষণ বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তরে কর্মরত। গান গাওয়ার পাশাপাশি নেশা তার গান লেখার। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনালোকিত  ত্রিপুরার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের  কথা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই গানটি লিখেছেন বলে জানান সংকর্ষণ ঘোষ।