Header Ads

পশ্চিমবঙ্গের তিন নেতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স ও আইটিও উত্তাল

পশ্চিমবঙ্গের তিন নেতাকে নিয়ে 
সিজিও কমপ্লেক্স ও আইটিও উত্তাল

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী ও এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে সি বি আই। রাজ্যের প্রতাপশালী শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে  অবৈধভাবে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ যেমন রয়েছে,তেমনি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা এবং গরু পাচারের মামলায় তদন্ত করছে সি বি আই। তদন্ত করতে গিয়ে সি বি আইর হাতে এমন সব গুরুত্বপূর্ন তথ্য এসে পড়েছে,যেগুলিকে প্রতিষ্ঠা দিতে সি বি আই আয়কর ভবন কে চিঠি দিয়ে এই তিন মন্ত্রী ও নেতার বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে চেয়েছে। এনিয়ে দিল্লির লোদী রোডের সিজিও কমপ্লেক্স এবং আইটিও তে আয়কর ভবনে তৎপরতা বেড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার আয়কর ভবনেও শুরু হয়েছে ব্যস্ততা।
দিল্লি কলকাতা ফোনাফোনি চলছে অবিরত। খুব শীঘ্র রিপোর্ট জমা দেবার কথা বলা হয়েছে।

এর ফলে সত্যিই  বিপাকে  পড়তে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী ও অনুব্রত মণ্ডল। কারণ এ বার শাসক দলের এই তিন শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পত্তির হিসেব হাতে পেতে চাইছে সিবিআই। শুধু তাঁদের আয়ের উৎস নয়, পার্থ, পরেশ ও অনুব্রতর যে আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন, তাঁদের নামে বেনামে কত সম্পত্তি রয়েছে, তারও হিসেব চাইছেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বহু প্রামাণ্য তথ্য সিবিআইয়ের  হাতে  এসে পড়েছে।  গরু পাচার মামলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে একবার সিবিআই জেরা করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়–পরেশ অধিকারীও জেরার মুখে পড়েছেন। এই দুর্নীতি এবং কর্মকাণ্ডে তারা কেউ আর্থিক লাভবান হযেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতেই সিবিআই চিঠি পাঠিয়েছে আয়কর দফতরকে। তাঁরা সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন।

সি বি আইর তদন্তকারীরা জানতে চান, গত পাঁচ বছরে এই তিন নেতার সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে। একইসঙ্গে সিবিআই জানতে চায়, আয়ের উৎস হিসাবে সেখানে কী দেখানো হয়েছে। আয়কর দফতর থেকে তথ্য এলে মন্ত্রীদের থেকেও নথি চাওয়া হবে বলেই সূত্রের দাবি। মূলত দু’তরফের নথি মিলিয়ে দেখা হবে।

এসএসসি নিয়োগে সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা হয়। এই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপরই তিন তিনবার পরেশ অধিকারীকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যেহেতু তিনি প্রভাবশালী, মেয়ের চাকরি পাওয়ায় তাঁর কী ভূমিকা, কোনওরকম টাকার বিনিময়ে মেয়ের এই চাকরি তিনি পাইয়ে দিয়েছেন কি না জানতে চায় সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়িয়েছে গরু পাচার মামলায়। যে মামলায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এখানেও কোনও আর্থিক লেনদেন রয়েছে কি না জানতে চায় সিবিআই।
সি বি আইর জেরার মুখে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী বেশ কিছু তথ্য সি বি আইর হাতে তুলে দিয়েছেন।তারই প্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্তদের আয়ের উৎস ও পরিমাণ জানতে চাইছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.