Header Ads

কুতুবমিনার খননের কোনো নির্দেশ নেই:রেড্ডি



মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
নতুন দিল্লি, ২৩ মে:

মিডিয়াতে মন গড়া কাহিনী ছাপা হচ্ছে কুতুব মিনার নিয়ে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জে কে রেড্ডি কাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন, কুতুব মিনার নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনার বীজ বপন করা হচ্ছে আগে থেকেই। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কুতুব মিনার চত্বরে খননের কোন নির্দেশ সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে দেওয়া হয় নি। কোন সিদ্ধান্তও নেয়া হয়নি এখনও। তবে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছেন তিনি। 

কিছু পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবার কি খনন কার্য শুরু হবে কুতুবমিনার চত্বরে? এই বিতর্কের মধ্যেই  সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিবের দলবল নিয়ে কুতুব মিনার চত্বরে উপস্থিতি  বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে এবার কি খনন শুরু  কুতুবমিনার চত্বরে? একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মিনার থেকে ১৫ মিটার দূরে খনন কাজের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই খনন হবে বলেও দাবি করা হয় রিপোর্টে।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিগত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন স্থাপত্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তা সে মথুরার ইদগাহ মসজিদ হোক কি বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ। সেই তালিকায় রয়েছে আগ্রার তাজমহল ও দিল্লির কুতুবমিনারও। এই আবহে জ্ঞানবাপীর সমীক্ষা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছে দেশ জুড়ে। মথুরার ইদগাহ মসজিদ ও তাজমহলেরও সমীক্ষার দাবি উঠেছিল। একই দাবি ওঠে কুতুবমুনারকে ঘিরে। এই বিতর্কের মাঝেই কুতুবমিনারে দেখা যায় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিবকে। আর তাতেই শুরু হয় জল্পনা। তবে সেসব যাবতীয় জল্পনায় জল ঢাললেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জিকে রেড্ডি নিজে। এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মন্ত্রী বলেন,  এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে যে কুতুবমিনার কার তৈরি... হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, কুতুবুদ্দিন আইবক ওই মিনার তৈরি করেননি। হিন্দুরাজা বিক্রমাদিত্য সূর্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ওই মিনার নির্মাণ করান বলে দাবি ওঠে। এই আবহে শনিবার সংস্কৃতি সচিব কুতুবমিনার চত্বর পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন ইতিহাসবিদ এবং বিভাগীয় আধিকারিক এবং গবেষকও ছিলেন। এর পরই নাকি পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে খননের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও রবিবার রাতেই  সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে জানানো হয়,সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিবের ওই সফর রুটিন অনুযায়ী ছিল।

হিন্দু পক্ষের তালিকায় কলকাতার নাখোদা মসজিদের নামও নাকি রয়েছে। কলকাতার জোড়াসাঁকোর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির কাছেই রয়েছে নাখোদা মসজিদ। হিন্দু পক্ষের দাবি হলো,যেহেতু মামলা গুলি আদালতে বিচারাধীন,সেহেতু কেন্দ্র সরকার এনিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে চাইছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.