Header Ads

শ্রদ্ধাঞ্জলি

                 
-শুভসুন্দর দেব চৌধুরী- 

চিরবিদায় সান্ত্বনা গুপ্ত(বৌদি)।  অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তথা আসামের  সুপরিচিত বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক অমল গুপ্তদার সহধর্মিনী বা জীবনসঙ্গীনি ছিলেন। সাংবাদিক অমলদা আসামের জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পোর্টাল "নয়া ঠাহরের" প্রধান সম্পাদক। আজ বাংলা সংবাদ পাঠক সমাজে পরিচিতি ২৪ লাখের বেশি ছাড়াতে চলছে। সান্ত্বনা বৌদির  নরদেহ সর্বভূতে বিলিন হয়ে গেছে। আপনি ভারতীয় সংস্কার অনুযায়ী স্বামী অমল গুপ্তদাদার পরিচর্যা ছাড়াও সহচরী হিসাবে সংসারজীবন সাথী ছিলেন। স্বামীর স্বপ্ন পূরণে উদ‍‍্যোগ ও ত‍্যাগ ছিল অপরিসীম। প্রকৃতি  অর্থেই ব‍্যতিক্রমী মহিলা সহধর্মীনি জীবন কাটিয়ে ছিলেন । শিক্ষীকার চাকরিতে থেকেও সাংবাদিক বৃত্তি স্বামীর সহধর্মিনী এবং প্রেরণাময়ী অংশীদার স্বামীপরায়ণ ধর্মপালন করে ছিলেন।

আমার প্রথম পরিচয়ে শুভক্ষণ রচয়িতা ছিলেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক রত্নজ্যোতি দত্ত। তিনি দিল্লিতে আছেন। তাঁর সাথে আমার বিশেষ পরিচিতি থাকায় অমলদার সাথে পরিচয়ের সূত্র হয়। গৌহাটিতে সখের লেখার অভ্যাসকে ধরে রাখতে আবার সংবাদ জগতে  আসার সৌভাগ‍্য হলো আমলদার জন‍্য। প্রথম পরিচয়েই আমলদার অথিয়তাপরায়ণ পত্নি বৌদির সাথেই প্রথম দেখা ও প্রথম ভোজন।
ভেবেছিলাম, আবার  কথা হবে। আবার  ওনার হাতের নিরামিষ রান্না খাওয়া হবে। তাও আর কোনদিন হবে না। অমলদা বলেছিলেন বৌদিকে নিয়ে বদরপুরে  আসবেন। আর আসা হল না। আপনার স্ত্রীর আত্মার সদ্গতি পরমপিতার কাছে প্রার্থনা করছি আজকের  দিনে আবার । বৌদি প্রথম পরিচয়পত্রের আতিথেয়তা স্মৃতি কখনো হারিয়ে যাবেনা আমার স্মৃতির মনিকোটা থেকে। সান্ত্বনা বৌদির যেখানে থাকবেন ভালো ও শান্তিতে থাকবেন।  অমৃতালোকে যাত্রা অমৃতময় হউক এই প্রার্থনা সর্বময়ের কাছে রইল।

[*লেখক নয়া ঠাহর-এর বরাক ব্যুরোর প্রধান।] 
              

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.