Header Ads

জীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল না, অন্য লোকে চলে গেলেন সান্ত্বনা

অমল  গুপ্ত, কান্দি, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদঃ তার জীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল, এই সম্পূর্ণতার মাঝে এক ঘাটটি থেকে গেল। চিকিৎসকরূপী এক দল দানব লোভী, মানুষের সেবা ছেড়ে হাতে  ছুরি ধরেছে সাদা কালো টাকার মাপ কাঠিতে জীবনের মূল্যায়ন করে,    তাদের হাতে অসময়ে সান্ত্বনাকে চলে যেতে হল। তাদের   ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হল সান্ত্বনার দেহ,ডায়ালিসিসের নামে রাশি রাশি টাকার বিনিময়ে ফিশচুলা বা চ্যানেল তৈরির কূট কৌশল চালাল ডাক্তাররা, আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি চালিয়ে রক্তাক্ত করল সারা শরীর।  বহরমপুরের গঙ্গা তীরের শ্মশানে পবিত্র দেহ ঢাকা  সাদা কাপড় আর রজনীগন্ধা থেকেও রক্ত ঝড়ল, আমি  শিউরে উঠলাম। দিনের পর দিন দেখেছি এই সমাজের একাংশ নিষ্ঠুর লোভী ডাক্তার টাকার নামে মানুষ খুন করে চলেছে। সেবা ছেড়ে হাতে ছুরি ধরেছে। গুয়াহাটি কলকাতা, বহরমপুর সব একাকার।  সান্ত্বনার জীবনের বৃত্ত সম্পুর্ন হয় নি। আরো কিছুদিন বাঁচতে পারতো  লোভী নিষ্ঠুর ডাক্তারদের হাতে প্রাণ গেল। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল হাসপাতাল, নার্সিং হোমের সাদা চাদরের  বেডে যন্ত্রনাতে কাঁদলেন, আমাদের করার কিছু ছিল না। বলার কিছু ছিল না। ব্যাংক ব্যালান্স শূন্য করা ছাড়া। এই আকাশ সমান যন্ত্রনার যবনিকা পড়ল ২৯ এপ্রিল। ৯ মে কান্দি জেল রোডের বাসভবনে পরলৌকিক ক্রিয়া  সম্পন্ন হল। জীবনের বৃত্ত অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায়  সাদা দেওয়ালে ফটো হয়ে ঝুলে পড়লো। রজনীগন্ধা আর লাল গোলাপে শরীর ঢাকলো পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ ,তাকে অন্য লোকে যেতে সাহায্য করলো। শান্তি জল ছিটানো হলেও মনে শান্তি এল না। কিছু আমন্ত্রিত ব্যক্তি উপস্থিত থেকে তার সাক্ষী হল। জেলার বিশিষ্ট কবিরাজ দিলীপ সেন গুপ্ত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রভাস গুপ্ত, তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড, কান্দি  পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক, প্রাক্তন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নবেন্দু বড়াল, বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণ মিশ্র, সঙ্গীত, সাহিত্য গবেষক প্রণব আচার্য্য, জেলার বিশিষ্ট নাট্যকার পঞ্চানন দাস সহ শতাধিক ব্যক্তি।  জীবন আছে জীবন যাবে আফসোস নেই। এই নিয়তির উপর কেউ নেই। তবে সম্পূর্ণ বৃত্ত শেষ না হওয়ায় আগেই সান্ত্বনা চলে গেল। এই আফসোস যন্ত্রনা জীবনভর বয়ে চলতে হবে। ঈশ্বর হয়তো তাই চেয়েছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.