কৃষকদের সমস্যা সমাধানের দাবি তে সরব আমরা বাঙালি
আগরতলা ,শিলচর দেশের কৃষক স্বার্থবিরোধী তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানী দিল্লির কাছে ঐতিহাসিক আন্দোলন প্রায় ১১ মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এই গণআন্দোলনের ঢেউ ইতোমধ্যেই আসমুদ্র হিমালয়কে আন্দোলিত করে বিদেশের মাটিতে গিয়েও আছড়ে পড়েছে । শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার মধ্যে অসহনীয় দুঃখ-কষ্টকে বরণ করে আন্দোলন চালাতে গিয়ে এরমধ্যেই অনেক কৃষক প্রাণ বিসর্জন হলেও দেশের কর্ণধারদের মনে এতটুকুও রেখাপাত করেছে বলে মনে হয় না। বরং বিভিন্ন সময় আলোচনার নামে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে নানান ফন্দী আঁটছে যে, কীভাবে কর্ষক আন্দোলনকে বানচাল করা যায় তা নিয়ে। এমতাবস্থায়, গত ৩ রা অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে আন্দোলনরত কর্ষকদের উপর ঘটে এক বর্বোরোচিত আক্রমণ। খবরে প্রকাশ, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র ও তার দল-বলের এক কনভয় এসে প্রথমে গুলি করে আন্দোলনরত এক কৃষক হত্যা করার পর কনভয় দিয়ে পিষে আরো ছয়জনকে কৃষক হত্যা ও ও অনেককে আহত করে চলে যায় ।এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা দেশ এখন শোকে মুহ্যমান ও ক্ষোভে উত্তাল। আমরা বাঙালী ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি এই কৃষক হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তির দাবী করছে ।সেইসঙ্গে আমাদের দাবী নিহত-আহত প্রতিটি কৃষকপরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দানের ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল সহ কৃষিকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে কৃষি ও কৃষক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে আজকের দিনে আমাদের আর একটি দাবী হল--- দীর্ঘদিন ধরে জিবি হাসপাতালে কর্মরত প্রায় দেড় শতাধিক সুলভ বা সাফাই কর্মীকে কোনভাবেই ছাঁটাই না করে অবিলম্বে তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ স্থায়ী কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। নতুবা সংশ্লিষ্টদের বাঁচার স্বার্থে আমরা বাঙালি রাজ্য কমিটি গণ আন্দোলন জারি রাখবে ।
কোন মন্তব্য নেই