মুর্শিদাবাদ জেলার হাজার পুর নব গ্রামের কাত্যায়নী দেবী সম্প্রীতির সেতু গড়েছে
অমল গুপ্ত,কান্দি জেল রোড ,
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার অধীন হাজারপুর নবগ্রাম ছোট্ট গাছ গাছালি ,পানা পুকুর ,ঘুঘু ডাকা, ছা য়া ঘন এক প্রাচীন গ্রাম। যে গ্রামের এক মাত্র আরাধ্য দেবতা কাত্যায়নী দেবী। প্রাচীন বটবৃক্ষের মত এই দুর্গা রুপী মায়ের জন্মের শিকড় আড়াই হাজার বছর আগে ছড়িয়েছে। পাল যুগের ও বলেন অনেকে।এত প্রাচীন মূর্তি বট বৃক্ষের তলে হাজার বছরের প্রাচীন শিলা খণ্ড রাজ্যের পুরা তত্ত্ব বিভাগের গোচরে আসেনি আজও। হিন্দু মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্প্রীতির আর্দশ স্থল হাজারপুর নবগ্রাম যেখানে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায় মায়ের আশীর্বাদ নিতে আসে।জাগ্রত মা সবকে আশীর্বাদ দেন।স্থানীয় শিক্ষক শুভ্র শেখর গুপ্ত জানান খুব জাগ্রত এই প্রতিমা দেখতে বহু দুর থেকে ভক্ত প্রাণ মানুষ আসেন।
প্রধান পুরোহিত সুবোধ ভট্টাচার্য্য জানান তাঁরা সাত পুরুষের পুরোহিত,এক কস্টিক কালো পাথরের দশ ভূজা , হিন্দু মুসলিম গ্রামের গণ দেবতা,অন্য কোনো পুজোর প্রচলন নেই। গ্রামের মানুষ দুলাল ঘোষ এই পুজো বাড়িতেই সময় কাটান একজন ভক্ত ,বলেন মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুর 84 বিঘা জমি দান করে ছিলেন।এখন সব বেদখল , মাত্র তিন বিঘা অবশিষ্ট আছে। এই মূর্তি একবার চুরি গিয়েছিল। পরে ডাঙ্গা পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। আগে ঈশান কোণে মা অধিষ্ঠিত ছিলেন। মা কাত্যা অনি র পাশে ব্রহ্মা নি ।কালো কোষ্টিক পাথরের মূর্তি। দুই দেবতা কে দেখতে রাজ্যের বহু গণ্য মান্য ব্যাক্তি আসেন। কিন্তু বুড়ো বটবৃক্ষের তলে অবস্থিত প্রস্তর খণ্ড নিয়ে কোনো গবেষণা হল না।রাজ্যের পুরাতত্ত্ব বিভাগের নজর পড়লো না ইতিহাস প্রাচীন দেবী মূর্তির দিকে। সপ্তমীর দিন নিরব শান্ত গ্রামের দেবী পিঠ সফর করে মন প্রশান্তি তে ভরে উঠলো। কান্দি ফিরে গেলাম সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ।যা জীবনের অভিজ্ঞতার ভান্ডার পূর্ণ করবে।
কোন মন্তব্য নেই