না ফেরার দেশে চলে গেলেন আসামের বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী শিবেন ব্যানার্জি।
দেবযানি পাটিকর, গুয়াহাটি,। অসমের বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী ও গীত ভারতী সংগীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শিবেন ব্যানার্জীর আর নেই।সকলকে রেখে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।মঙ্গলবার দুপুরের দিকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল( জিএমসিএইচ) এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পন্ডিত শিবেন ব্যানার্জি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি, অনেকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি জিএমসিএইচ এ ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাকে প্রথমে হায়াত হসপিটালে ভর্তি করা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের একটি টিম উনার চিকিৎসা করে জি এম সি এইচএ ভর্তি করার নির্দেশ দেন। এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রথম জীবনে শিবেন ব্যানার্জি অসম ও অসমের বাইরে আধুনিক সংগীত, , রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করে আর প্রচুর সুনাম অর্জন করেন। ৭০ দশকের সংগীত একাডেমীর দ্বারা আয়োজিত সারা আসাম ব্যাপী সংগীত প্রতিযোগিতায় গজল,রাগ প্রধান ও আধুনিক সংগীতে প্রথম স্থান অধিকার করে পুরস্কার লাভ করেছিলেন। রেডিও ও দুরদর্শনে তিনি বহুবার আধুনিক, রবীন্দ্র, নজরুল, গজল ও শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন। অসমীয়া ফ্লিমেও তিনি নেপথ্যে কণ্ঠদান করেছিলেন। তার অনেক ছাত্র -ছাত্রীরা বর্তমানে সঙ্গীতের জগতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনাম অর্জন করেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও বহুগুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।
নেফসেট গুয়াহাটি তাকে" সংগীত জ্যোতি" উপাধিতে ভূষিত করেছে ।গুয়াহাটির গান্ধার গোষ্ঠী "গান্ধার প্রদীপ" উপাধিতে ভূষিত করেছে।অসম সরকার তাকে শিল্পী পেনশন প্রদান করেছে। এছাড়া একজন সংগীত শিক্ষক হিসাবে উড়িষ্যাতে সেরা শিক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন। পন্ডিত শিবেন ব্যানার্জিউত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য কার্যালয়ের কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। তিনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। দেশের অনেক বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ।
গান গেয়ে শিল্পীকে শেষ বিদায় জানায় তার ছাত্র ছাত্রীরা।
কোন মন্তব্য নেই