Header Ads

দালালি রাজ অবসানে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অভিযানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে অভিনন্দন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের

 

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচরঃ জমির দালালদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে অভিনন্দন জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। তবে পেছনের রাঘববোয়ালদের বাদ দিয়ে শুধু চুনোপুঁটিদের এইভাবে ধরপাকড় করে যে কোন কাজের কাজ হবেনা সেটাও একই সাথে মনে করিয়ে দেওয়া হল ফ্রন্টের এর পক্ষ থেকে। বিডিএফ এর এক সভায় এই প্রসঙ্গে মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে পূর্বতন সব সরকারের সাংসদ ,বিধায়ক,মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকদের মদত থাকার জন্যেই বরাক সহ সমস্ত রাজ্যে দালালদের মাফিয়া রাজ চলছে। কাজেই শুধু সামনের সারির যে ৭০০ জমি দালালের তালিকা করা হয়েছে তাদের ধরপাকড় করলেই এই সমস্যার সমাধান হবেনা।

মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই এই ব্যাপারে আন্তরিক হন তবে এর পেছনের মদতদাতাদের জালে পুরতে হবে তারা মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা আধিকারিক যাই হোন না কেন। এই প্রসঙ্গে তিনি  শিলচর পৌরসভার বর্তমান সিইও জে আর লালসিমের নামোল্লেখ করে বলেন যে এই আধিকারিক গত কুড়ি বছর ধরে অসমের কাছাড় জেলায় বিভিন্ন পদে কাজ করে চলেছেন এবং এখন জেলা সেটেলমেন্ট অফিসার সহ তিনটি পদ একসাথে সামলাচ্ছেন।

প্রদীপ বাবু বলেন যে এটা প্রায় সবাই বলেন যে তার পরোক্ষ মদতে এই জেলায় দালালরাজ ও দুর্নীতি জাঁকিয়ে বসেছে যার থেকে তিনি কমিশন পান। বিবিএফ এর মুখ্য আহ্বায়কের প্রশ্ন যে কাদের মদতে একজন আধিকারিক কুড়ি বছর ধরে একই জেলায় থেকে যেতে পারেন ? যেখানে তার বিরুদ্ধে অনেকবার দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে সেখানে সরকার কেনই বা কোন পদক্ষেপ নিতে অপারগ ?তাই এইসব দালালির শেকড় অনেক গভীরে।

প্রদীপ বাবু আরো বলেন যে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের ঘনিষ্ঠ দুই বিজেপি নেতা পার্টির পতাকা লাগিয়ে তার সমষ্ঠিতে অনেক দিন ধরে নিরীহ নাগরিকদের জমি দখল করছেন এবং পুলিশ প্রশাসনও তাদের মদত দেয়। তাই এসবের পিছনে যে মন্ত্রীর অবধারিত ভূমিকা রয়েছে তা‌ হলফ করে বলা যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। একইভাবে চাল,সুপারি,বালি,পাথর ইত্যাদি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হিসেবে শনাক্ত হবার পরও কেন অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়না ,কেনই বা তাদের আত্মগোপন করার সুযোগ দেওয়া হয় তাও রহস্যজনক এবং এসবের মধ্যেই দুর্নীতির জড় লুকিয়ে আছে। কাজেই এদের বাদ দিলে নিরীহ নাগরিকদের জোরজুলুম বা আইনি মারপ্যেচে ফেলে সর্বসান্ত করার প্রক্রিয়া কখনই শেষ হবেনা। অচিরেই নতুন একদল দালালের রমরমা শুরু হবে।

বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে এবারের মুখ্যমন্ত্রীর বরাক সফরের সময় তার দুপাশে যেসব লোককে দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই সুপরিচিত দালাল। কোন রহস্যময় কারণে মুখ্যমন্ত্রী এদের নিয়ে বিভিন্ন সফর করলেন , সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তা জানতে চায় বিডিএফ।প্রদীপ বাবু বলেন যে এই ৭০০ জনের কতজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর এর পেছনের আমলা এবং রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেই বা কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা আমরা সাগ্রহে লক্ষ্য করব। যদি সত্যিই মুখ্যমন্ত্রী এইসব রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন তবে তিনি 'সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল'এর সাথে তুলনীয় হবেন এবং সেভাবেই তাকে সম্মান জানাবে বিডিএফ। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.