মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসমে রেড কার্পেট পেতে সম্বর্ধনা জানানো হবে:হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
অমল গুপ্ত,কলকাতা :পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অসমে আসেন তবে তাকে রেড কার্পেট পেতে সম্বর্ধনা জানানো হবে। তার সমাদরে কোনো ঘাটতি থাকবে না।অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলিগুড়ি তে একথা বলেন। তিনি অসমের ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা মারিয়নির প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত অলক ঘোষের শিলিগুড়ির বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানে সাংবাদিকদের কাছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে লাল কার্পেটে সম্বর্ধনা জানানোর কথা বলেন। বলেন তিনি অসমে ও ত্রিপুরা সফর করে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রচার করলে বিজেপি লাভবান হবে। কংগ্রেস দলের ভোটে ভাগ বসাবে তৃনমূল।ভোট ভাগ হয়ে যাবে। ত্রিপুরা গেলেও বিজেপি লাভবান হবে।বিজেপি দলকে হারাতে পারবে না। আবার বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।অসমের আইন শৃংখলা নিয়ে বলেন অসমে পশ্চিমবঙ্গে একই সঙ্গে ভোট হল। পশ্চিমবঙ্গ এ ব্যাপক গন্ডগোল হল।অসমে কোনো ভোটারের বাড়িতে একটি ইট ও পড়েনি। আর পশ্চিমবঙ্গে ভোটে কি ধরণের হিংসা হল তা সি বি আই , জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। অসম শান্তিপূর্ণ রাজ্য, অসমিয়া বাঙালি সবাই পাশাপাশি সদ্ভারের সঙ্গে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে।কোনো সমস্যা নেই।শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেওয়া সম্পর্কে বলেন ,সুস্মিতা কেবল বরাকের প্রতিনিধি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেলেও বিজেপি র কোনও ক্ষতি হবে না। বরাকের ভোট কংগ্রেস ,এ আই ইউ ডি এফ ,তৃনমূল কংগ্রেস যদি ভোট পাই তবে ভাগ হয়ে যাবে। তাতে বিজেপি র কোনো ক্ষতি হবে না। হিমন্ত বলেন, অসমে দিদির কোনো কাজ নেই ,সেখানে কামাখ্যা মন্দিরে প্রণাম করে চলে যাবেন। সি এ এ ,এন আর সি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন অসমে শান্তি রয়েছে। অসমে গোর্খা দের উপর থেকে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে মাত্র 12 জন হিন্দু বাঙালি আছে।তাদের ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির তৃনমূল নেতা পুর প্রশাসক গৌতম দেব বলেন বিজেপি র কাজ নিজেদের ঢাক বাজানো।বিজেপি আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকবে। তৃনমূল সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা আবোল তাবোল বকছেন। শিলিগুড়িতে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ,ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়ক শিখা চট্টপাধ্যায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রয়াত অলক ঘোষ বিশিস্ট সমাজ কর্মী পরের উপকারে সারা জীবন কাজ করেছেন।তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক ছিল।পশ্চিমবঙ্গের তৃনমূল নেতা সৌগত রায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে আক্রমণ করে বলেছেন উনি তো "দল বদলু "নেতা তরুণ গগৈ এর জন্যে কংগ্রেস ছেড়ে ভালো মানুষ সর্বানন্দ সনওয়াল কে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দাবি করেন অসমে আইন শৃংখলা ব্যাবস্থা খুব খারাপ। মিজোরামে অসমের পুলিশ খুন হল। তার দিদিকে নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
কোন মন্তব্য নেই