বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের দাবি মানতে হবে
শিলচর : গতকাল ধলাই থানার খুলিছড়া এলাকায় আবার হামলা চালিয়েছে মিজো দুস্কৃতীরা। মিজোরামের তরফে সীমান্তে এরকম উপুর্যপরি আগ্রাসন ও আসাম তথা কেন্দ্রীয় সরকারের নিস্ক্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে আবার সরব হলেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
এক রেকর্ডেড প্রেসবার্তায় প্রদীপবাবু বলেন যে অভিশপ্ত ২৬ শে জুলাইয়ে ছ'জনের মৃত্যুর পর থেকে এই নিয়ে পরপর তিনবার মিজোরাম প্রশাসনের মদতে দুস্কৃতিরা হামলা চালাল , অথচ আসাম সরকার নিশ্চুপ। তিনি বলেন যে আসাম তথা কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে আইজলে যে শান্তি বৈঠক হল তার ফলাফল যে কিছুই হয়নি এসব তার প্রমাণ। তিনি বলেন এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যায় ভুগছেন সীমান্তে বসবাসকারী উভয় রাজ্যের সাধারণ নাগরিকরা। তাদের নিরাপত্তা ও রুটি রুজির উপায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায়না।
প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে এই সমস্যার সমাধানসূত্র আসাম কিংবা মিজোরাম সরকারের হাতে নেই। তিনি বলেন যে বিডিএফ আগে থেকে দাবি জানিয়ে আসছে এবং এখনো বলছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহ মন্ত্রকের একটি দলকে অকুস্থলে এসে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।কারণ এই সমস্যা অনেক পুরোনো এবং দুই রাজ্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে নড়তে নারাজ। মিজোরাম ১৮৭৫ সালের চুক্তির ভিত্তিতে এবং আসাম ১৯৩৩ সালের চুক্তির ভিত্তিতে সীমানার দাবি করছে,অথচ দুটি চুক্তিই ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা করা এবং সেইসময় মিজোরাম আসামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মিজোরাম নতুন রাজ্য হবার পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা যারা সীমান্তে অনেক যুগ ধরে বসবাস করছেন উভয় রাজ্যের সেই নাগরিকরা ফসল ফলানো এবং জীবিকার স্বার্থে নিজেদের মধ্যে একধরনের বোঝাপড়া করে এতদিন ধরে চলে আসছেন। সরকারী তরফে যে কোন একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত তাদের উপর চাপিয়ে দিলে উভয় রাজ্যের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়বেন এবং এই ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলতেই থাকবে। তিনি বলেন সম্প্রতি সীমান্তের গ্রামীন বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে একই কথা বলেছেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল অবিলম্বে সীমান্তে এসে স্থানীয় দের সাথে কথা বলুক এবং তারপর উভয় সরকারের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে পুরোনো চুক্তি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন করে বিতর্কিত এলাকার সীমানা চূড়ান্ত করুক।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে এছাড়া যেহেতু মিজোরামের মধ্য দিয়ে ড্রাগস ও অবৈধ অস্ত্র শস্ত্র আসমে ঢুকছে তাই আসাম সরকারের তরফে সীমান্তে ইনার লাইন পারমিট ব্যাবস্থা প্রচলন সহ বিডিএফ এর অন্যান্য দাবিগুলিকেও গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে,কারণ সীমান্তে বসবাসকারী সহ এইগুলি এই অঞ্চলের গনদাবি।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।









কোন মন্তব্য নেই