বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে ত্রিপুরায় ! দাবি তৃণমূলের
আগরতলা : ত্রিপুরায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাচ্ছে
বিজেপি সরকার। এবার এমনই খবর প্রকাশ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র 'জাগো বাংলায়'। একাধিক বিজেপি নেতা যোগাযোগ রাখছেন
তৃণমূলের সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূল সূত্রে।
মুখপাত্র বলছে, বিজেপির একঝাঁক নেতা-মন্ত্রী তৃণমূলে
আসার জন্য পা বাড়িয়েই রয়েছে। জাগো
বাংলায় লেখা হয়েছে, শেষ ৭২
ঘণ্টায় যতজন বিজেপি বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন বা গোপন বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সাথে
তাতে বিপ্লব দেবের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দিকে যাচ্ছে। যদিও পাশাপাশি এমনও
বলা হয়েছে. তৃণমূলের লক্ষ বিধায়কদের দলত্যাগ করিয়ে সরকার গঠন নয় বরং নির্বাচনে
লড়াই করেই নতুন করে সরকার গড়তে চায় তৃণমূল।
জাগো বাংলা আরও দাবি করছে, ত্রিপুরা বিজেপিতে এই মুহূর্তে দুই
ধরনের বিধায়ক আছেন। একদল স্পষ্টই বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে। অন্য দল এখনও বিপ্লব
দেবের সমর্থক। কিন্তু বুঝতে পারছেন মানুষের মন বিপ্লব দেব সরকারের উপর থেকে সরছে
তাই দূত মারফত যোগাযোগ রাখছেন। জাগো বাংলার এ হেন দাবির পিছনে কিছু
যুক্তিও রয়েছে। ত্রিপুরায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃণমূল বেশ কয়েকটি স্ট্র্যাটেজি
নিয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই দলের শীর্ষ নেতারা ত্রিপুরা যাচ্ছেন। যোগাযোগ রাখছেন
বিভিন্ন শিবিরের নেতাদের সঙ্গে। তাছাড়া আগে থেকেই সুদীপ রায় বর্মনদের মতো নেতারা
দলে থেকেও বেসুরো। রাজনীতি চর্চাকারীরা অনেকেই মনে করতে পারবেন, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় দল সরেজমিনে
খতিয়ে দেখতে এলে,
বেশ কয়েকজন বিপ্লব দেবের উপর
অনাস্থা প্রকাশ করেন। তৃণমূল কি বিজেপির এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ফয়দা তুলবে?
রাজনৈতিক মহলের মত, ২০২৪-এর মহারণের আগে ত্রিপুরাকে
অনেকটা ওয়ার্ম আপ ম্যাচের মতো দেখছে তৃণমূল। এখানে ভিত নাড়াতে পারলে দিল্লির
মসনদও টলবে,
এমনটাই মনে করে তৃণমূলের অন্দর।
তাই ত্রিপুরার মন পেতে কোনও কৌশলই ছাড়বে না তৃণমূল। প্রতিদিনই পালা করে চলছে
যোগদান। ভোট এখনও অনেকটাই দেরি তবু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চোখে পড়ার মতো।
প্রতিদিন সব স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় স্থান পাচ্ছে জোড়াফুলের খবর। সব
মিলিয়ে ত্রিপুরায় কিস্তিমাতে নিত্যনতুন দান দিতে মরিয়া তৃণমূল।









কোন মন্তব্য নেই