বাঙালি স্থান গঠনের দাবি আমরা বাঙালি দার্জিলিং শাখার
শিলিগুড়ি : ১৮ই জুলাই ২০১১ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বিদেশী সন্ত্রাসবাদী খুনী বিমল গুরুং ও রোশণ গিরির সাথে সংবিধান বিরোধী অবৈধ বাঙালি বিরোধী জি টি এ চুক্তি স্বাক্ষর করে এই সন্ত্রাসবাদী নেপালীদের হাতে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্সিয়াং-এর শাসন ক্ষমতা তুলে দিয়ে ছিল বাংলা ভাগ করার ইন্ধন জুগিয়েছিল। তাই আজ ১৮|৭|২০২১ শিলিগুড়ি কোর্টমোড় থেকে আমরা বাঙালি দলের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল করে হাসমিচকে এসে পথসভা করা হয় এই চুক্তি বাতিলের দাবিতে। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব খুশী রঞ্জন মন্ডল, দার্জিলিং জেলা সচিব বাসুদেব সাহা, দার্জিলিং জেলা সহসচিব শম্ভু সূত্রধর, নীতীশ বোস ও অনিল দাস। এই চুক্তি যদি বাতিল করা না হয় তা হলে এই চুক্তির মধ্যে দিয়েই গোর্খাল্যান্ড রাজ্য তৈরি হবে। প্রথম কমিউনিস্ট পার্টির নেতা জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে ১৯৮৮ সনে সুভাষ ঘিসিং ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুটা সিং বাংলা ভাগের বীজ বপন করেছিলেন অসাংবিধানিক চুক্তি গোর্খা হিল কাউন্সিলর করে। এই সব অসাংবিধানিক চুক্তির পথ ধরেই আজ উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যে পরিণত করার জন্য বিজেপি নেতাদের উষ্কানীমূলক আবেদন। তাই আমাদের দাবী:-অবিলম্বে বেআইনী ও সংবিধান বিরোধী অবৈধ এই জি টি এ চুক্তি বাতিল করতে হবে। ভারত নেপাল মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী ১৯৫০ সালের পরে আসা বিদেশী নেপালী দের অবিলম্বে নেপালে ফেরৎ পাঠাতে হবে। তা নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। তাতে যদি কোন অঘটন ঘটে তার জন্য দায়ী থাকবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। আমরা বাঙালি দলের পক্ষ থেকে আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করছি। কোন ভাবেই আমরা বাংলাকে ভাগ হতে দিচ্ছি না, দিব না। বরং ১৯০৫ সালের আগের সুবা বাংলা বঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড ও আন্দামানের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে বাঙালির নিজস্ব বাসভূমি শোষণমুক্ত বাঙালিস্থান রাজ্য গড়ার জন্য আমরা আন্দোলন সুরু করেছি। যেরকমভাবেই হোক আমরা বাঙালিস্থান গরবই গরব এটাই আমাদের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। সকল বাঙালির কাছে আমরা বাঙালি দলের পক্ষ থেকে আহ্বান আসুন আমরা সকলে মিলে শোষণমুক্ত বাঙালিস্তান রাজ্য গঠন করি। আমরা বাঙালি দার্জিলিং জেলার সচিব বাসু দেব সাহা এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন।









  
  
কোন মন্তব্য নেই