পেট্রোপণ্য সহ জরুরি সামগ্রী নিয়ে বিরোধীদের মুলতুবি প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলেন অধ্যক্ষ, প্রতিবাদে সদন ত্যাগ
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন
বিজেপি সরকারের প্রথম বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হল আজ। আগামী ১৬ জুলাই অসম
বিধানসভায় প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ বাজেট পেশ করবেন। বিধানসভায়
বাজেট অধিবেশন উপলক্ষ্যে বিধানসভা চত্বর ব্যাপকভাবে ফুল-মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়।
বিধানসভার বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়কদের চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতালের সূচনা হয়।
বিধানসভার বহু নতুন নিয়ম-কানুনের
মধ্য দিয়ে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি, উপাধ্যক্ষ ডা. নুমল মোমিন বিধানসভার সূচনা করেন। এই বিধানসভা চলবে
আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিরোধী দল কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ পৃথক পৃথকভাবে
পেট্রোপন্য সহ অন্যান্য নিত্য সামগ্রীর ভোগ্য
সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
কিন্তু অপর শরিক দল বিপিএফ এই মুলতুবি প্রস্তাবে সায় দেয়নি। সরকারের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ
করেছে। আজ বিধানসভায় বিরোধী
দলপতি দেবব্রত শইকিয়া, ওয়াজেদ আলি চৌধুরী, রকিবুল
হোসেইন, এআইইউডিএফের
আমিনুল ইসলাম, রাইজর দলের সভাপতি অখিল গগৈ প্রমুখ রাজ্যের
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ
দৈমারি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা
করে বলেন, পেট্রোপন্য বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের
এক্তিয়ারে। তাই তিনি তা উত্থাপন করতে দিতে পারেন না। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে
অধ্যক্ষ সভা হঠাৎ মুলতুবি ঘোষণা করে
দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সংকেত পেয়েই সম্ভবতঃ তিনি এই ঘোষণা করেন। পরে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলেন,
তিনি তা ঘোষণা
করেননি। অখিল গগৈ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছিলেন,
রাজ্যের স্বার্থ সম্পর্কিত জরুরি বিষয়ে মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করা
হলে তাতে আলোচনায় সায়
দেওয়া উচিত। কারণ সেই আলোচনায়
সরকারের কিছু আসে যাবে না। কিন্তু আজ মূল্য বৃদ্ধির মতো অত্যন্ত জরুরি বিষয় আলোচনার সুযোগ দিলেন
না। প্রতিবাদে বিরোধী পক্ষ
আজ সদন ত্যাগ করে।
কোন মন্তব্য নেই