সাংবাদিক ড্যানিশ সিদ্দিকীর মৃত্যুতে নীরব প্রতিবাদ সভা
আশীষ
কুমার দে, লামডিং : গত ১৬
জুন পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপক চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিক আফগানিস্তানের
কান্দাহার শহরে নিহত হন। তিনি রয়টার সংবাদ সংস্থায় কর্মরত ছিলেন এবং তাকে আফগান
স্পেশাল ফোর্স ও তালিবানদের মাঝে ক্রমাগত যুদ্ধের ফলে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির ছবি
তোলার জন্য বিশেষভাবে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘ ১১ বছর তার নির্ভীক সাংবাদিকতার পরিচয়
বিশ্বে উচ্চ প্রশংসিত হয়। দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া
ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশনে স্নাতক হওয়ার পর তিনি এক চ্যালেন্জিং ভূমিকায়
অবতীর্ন হল। তিনি এমন এক ফটোগ্রাফার ছিলেন যার ছবির প্রতিটি মূহূর্ত কথা বলে। ইদানীং ভারতেও লোকতন্ত্র রক্ষায় তার ছবি যথেষ্ট
প্রতিবাদমুখী। রয়টারের খবর অনুসারে স্পিন বোল্ডাক জেলার একটি শহর কান্দাহারে আফগান
স্পেশাল ফোর্স ও তালিবানদের সংঘর্ষ চলাকালীন উনি হাতে শার্পনেল দ্বারা জখম হয়ে চিকিত্সাধীন থাকা
কালিন ওনাকে হত্যা করা হয় ওনার সাথে আফগান সেনার এক অফিসারেরও মৃত্যু হয়। ইরাকের
মসুল শহরের যুদ্ধ, নেপালের ভূমিকম্প, হংকঙের গণ
আন্দোলনের ছবি
দেখিয়েছিল কিভাবে মানবাধিকার উল্লঙ্ঘন হচ্ছে। রোহিঙ্গিয়া শরনার্থীদের উপর জুন্টার নির্মম অত্যাচার ও ক্রমাগত মানবধিকার
উল্লঙ্ঘনের ডকুমেন্টারী তৈরি করে
রাষ্ট্রসংঘকে বাধ্য করেন মায়ানমার সরকারকে নিরস্ত করতে। এরপর তাকে পুলিৎজার
পুরস্কার দেওয়া হয়। গত বছর
কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে তৈরি হওয়া
খাদ্য, জীবিকার অভাব এবং দেশান্তরীদের ছবি তুলে
ধরেন। দিল্লীর
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সিটিজেনশিপ আইনের বিরোধী আন্দোলনের ছবি দেশের
সংবেদনশীল মানুষদের বিবেক নাডিয়ে দেয়। তার
হত্যা আজ আবার কনফ্লিক্ট জোনে কর্মরত সাংবাদিক, চিত্রসাংবাদিক
তথা মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষার প্রশ্ন তুলে এনেছে। ১৯ জুলাই প্রথা ভেঙ্গে তার
কফিন বন্দী মরদেহ জামিয়া মিলিয়ার কবর স্থানে সমাধিস্থ করা হয়। ওই দিনটিকে বেছে
নিয়ে কোভিড বিধি মেনে এক নীরব প্রতিবাদ ও শ্রদ্ধার আয়োজন করে লামডিং এর ঘরোয়া। এতে
অংশ নেন বেশ কিছু সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক, সমাজ
সেবী। তাদের
লিখিত প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে রয়টার ও প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে। এদের মধ্যে রাতুল মুখার্জি,
চন্দ্রজিত গোয়ালা (NK-TV), অরিজিত দাস (অসম লাইভ 24), বিবেকান্দ
বর্মন, (DA News plus), অভিষেক
সরকার, সুনীল বিশ্বাস, কামনা
রায়, দিলিপ দে, সন্জয়
শর্মা, রনয় দাস, মনি
মালাকার, সমরজিৎ নাথ, সুজিত
দে প্রমুখ।









কোন মন্তব্য নেই